Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

গুঁড়িয়ে দেওয়া হলো রুফটপ রেট্রো লাইভ, আরও ১২ রেস্তোরাঁ সিলগালা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
৪ মার্চ ২০২৪ ১৬:৪৮ | আপডেট: ৪ মার্চ ২০২৪ ১৮:১৮

অভিযানে রেট্রো লাইভ কিচেন নামের রুফটপ রেস্তোরাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাজউক। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: রাজধানীর ধানমন্ডিতে গাউছিয়া টুইন পিক টাওয়ারের ছাদে গড়ে ওঠা রেট্রো লাইভ কিচেন রুফটপ রেস্তোরাঁটি গুঁড়িয়ে দিয়েছে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক)। ভবনের নকশায় না থাকা রেস্তোরাঁটি অবৈধভাবে নির্মাণ করা হয়েছিল। এ ছাড়া অফিসের অনুমোদন নিয়ে গড়ে তোলা ভবনটিতে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ১২টি রেস্তোরাঁ সিলগালা করে দেওয়া হয়েছে।

রাজউকের একটি দল সোমবার (৪ মার্চ) সকাল ১১টায় ভবনটিতে অভিযান পরিচালনা করে। রাজউকের পরিচালক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার অভিযানে নেতৃত্ব দেন।

বিজ্ঞাপন

রাজউকের ম্যাজিস্ট্রেট জানান, ‘এফ ওয়ান’ ক্যাটাগরির ভবন হিসেবে গাউছিয়া টুইন পিক টাওয়ারটির অনুমোদন নেওয়া হয়েছিল। এই ক্যাটাগরির ভবনগুলো মূলত অফিস হিসেবে ব্যবহারের জন্য। কিন্তু এই নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে ভবনটিতে রেস্তোরাঁ ও ফুডকোর্ট ভাড়া দেওয়া হয়েছিল।

ওই ভবনের নকশায় ছাদ ছিল খোলামেলা, সেখানে কোনো রেস্তোরাঁ নির্মাণের অনুমোদন না থাকায় ভেঙে দেওয়া হয়েছে রেট্রো লাইভ কিচেন। ছবি: সারাবাংলা

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজিনা সারোয়ার বলেন, ক্যাটাগরি অনুযায়ী ভবনটি অফিস হিসেবে ব্যবহারের জন্য। কিন্তু আমরা পরিদর্শনে মাত্র দুটি তলার কিছু অংশে কয়েকটি অফিস দেখেছি। ভবনের বাকি অংশে নিয়মের ব্যত্যয় ঘটিয়ে অনেকগুলো রেস্তোরাঁ ভাড়া দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ওষুধ ও কাপড়ের দোকান পেয়েছি। আমরা বিষয়গুলো খতিয়ে দেখছি।

রেট্রো লাইভ কিচেন গুঁড়িয়ে দেওয়া প্রসঙ্গে তাজিনা সারোয়ার বলেন, রাজউকের নকশায় স্পষ্ট দেখানো হচ্ছে, ভবনের ছাদ খোলামেলা। তারপরও কীভাবে এখানে রেস্টুরেন্ট করা হয়েছে, সেটি আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা ছাদের রেস্টুরেন্টটি ভেঙে দিয়েছি।

বিজ্ঞাপন

ভবন মালিকসহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া প্রসঙ্গে রাজউকের এই কর্মকর্তা বলেন, রাজউক ছাড়াও সিটি করপোরেশন কিংবা কলকারাখানা অধিদফতরসহ সংশ্লিষ্ট যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে, আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে তাদেরও বিষয়টি অবগত করব। নিয়মের ব্যত্যয় যারা ঘটিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে যেন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়, সেটি আমরা বলব।

ধানমন্ডির এই ভবনটি আলোচনায় আসে বেইলি রোডের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের পরদিন স্থপতি মুস্তাফা খালিদ পলাশের একটি ফেসবুক পোস্টের পর। তিনি নিজেই এই ভবনটির নকশা করেছিলেন। ওই ফেসবুক পোস্টেও স্থপতি বলেছিলেন, অফিস স্পেস হিসেবে ভবনটির নকশা তৈরি করা হলেও সেখানে একের পর এক বিধি বহির্ভূতভাবে রেস্তোরাঁ চালু করা হয়েছে। ভবনটি কোনোভাবেই বাণিজ্যিক রেস্তোরাঁর চুলা ব্যবহারের উপযোগী নয়।

সারাবাংলা/আরএফ/টিআর

গাউছিয়া টুইন পিক টাওয়ার টপ নিউজ টুইন পিক টাওয়ার রাজউক রাজউকের অভিযান রেট্রো লাইভ কিচেন রেস্তোরাঁ সিলগালা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর