Wednesday 01 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

দেবরকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে খুন, ভাবির কারাদণ্ড

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:২৩ | আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:২৭

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চার বছর বয়সী শিশুকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে খুনের মামলায় এক নারীকে ১০ বছর কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত। একই রায়ে আদালত আসামিকে অনাদায়ে আরও দুই বছর কারাদণ্ড দেন।

বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) চট্টগ্রামের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত সরওয়ার আলম এ রায় দেন।

দণ্ডিত ইয়াছমিন আক্তার সাতকানিয়া উপজেলার দক্ষিণ কাঞ্চনার মেজবাহ উদ্দিনের স্ত্রী।

জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী সারাবাংলাকে জানান, প্রায় ১২ বছর আগে চার বছর বয়সী শিশুকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে ও গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুনের দায়ে এক নারীকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই রায়ে আসামিকে অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার আরেক আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত। রায়ের সময় আসামি ইয়াসমিন আক্তার আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

মামলার নথি পর্যালোচনা করে জানা যায়, ২০১২ সালের ৫ নভেম্বর বিকেলে আয়েশা বেগম তার চার বছর বয়সী শিশু সন্তান রাশেদুল শিকদার তামিমকে বড় ছেলের বউ ইয়াসমিন আক্তারের কাছে রেখে কাজে যান। তামিম দুধ খেতে চাইলে তাকে এক কাপ দুধ খেতে দেয় ভাবি ইয়াসমিন। পরে আরও এক কাপ দুধ খেতে চাইলে ক্ষেপে গিয়ে তামিমকে বাঁশের লাঠি দিয়ে প্রথমে আঘাত করেন তিনি। এরপর বৈদ্যুতিক শক ও গলা টিপে ওই শিশুকে খুন করেন ইয়াসমিন। এ সময় বাড়িতে কেউ ছিলেন না।

তামিমের মা অর্থাৎ ইয়াসমিনের শাশুড়ি এসে তার ছেলে কোথায় জিজ্ঞেস করলে তিনি জানেন না বলে জানান। পরে তামিমকে খুঁজতে তার স্বজন ও এলাকাবাসী মাইকিং করে। ছেলেকে না পেয়ে ৭ নভেম্বর সকালে সাতকানিয়া থানায় নিঁখোজ ডায়েরি করেন আয়েশা বেগম। ওইদিন বিকেলে পঁচা গন্ধ ও বাড়ির মাচার উপর থেকে রক্তের ফোঁটা পড়ার সূত্র ধরে তামিমের বস্তাবন্দী রক্তাক্ত লাশ খুঁজে পায় তার পরিবার। এরপর ইয়াসমিন আক্তারকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি খুনের কথা স্বীকার করেন। ৮ নভেম্বর ইয়াসমিন আক্তার ও তার মা বেবি আক্তারকে আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন আয়েশা বেগম।

বিজ্ঞাপন

মামলার তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২০ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। রাষ্ট্রপক্ষের ১৪ জনের সাক্ষ্য এ শেষে রায় দেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেবি আক্তারকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম

কারাদণ্ড খুন দেবর ভাবি

বিজ্ঞাপন

ফিরে দেখা ২০২৪ / ছবিতে বছর ভ্রমণ
১ জানুয়ারি ২০২৫ ০৮:৪৫

আরো

সম্পর্কিত খবর