খালে কমোড ও লেপ-তোশক— বিরক্ত মেয়র
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:০৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: পলিথিন, প্লাস্টিক পণ্যসহ মানুষ সৃষ্ট আবর্জনায় ভরাট হওয়া চট্টগ্রাম নগরীর খাল ও নালা পরিষ্কারের অভিযানে নেমেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে নগরীর প্রবর্তক মোড়ে হিজড়া খাল ও সংলগ্ন নালা পরিষ্কার অভিযানের নেতৃত্ব দেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। এ সময় খালে বাথরুমের কমোড, পুরোনো লেপ-তোশক এবং মেডিকেল বর্জ্য দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
অভিযানে মেয়র রেজাউল সাংবাদিকদের বলেন, ‘খাল-নালায় জমে থাকা মাটি-পলিথিন পরিষ্কার করতে পারলে বর্ষায় জলাবদ্ধতা কমবে। নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখতে আমরা বছরব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম নিয়েছি। কিন্তু কিছু মানুষের অসচেতন আচরণ নগরীকে পরিচ্ছন্ন রাখার পেছনে বড় বাধা। এজন্য আমরা সচেতনতা বাড়াতে জোর দিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘মানুষ সচেতন না হলে আমরা কখনোই এ শহর পরিষ্কার রাখতে পারবে না। জনগণ যদি সচেতন হয় ভৌগোলিক কারণে বর্ষায় পানি উঠলেও দ্রুত নেমে যাবে। এরপরও কেউ অযথা নালায় ময়লা ফেললে যার প্রতিষ্ঠান-বাসার সামনে ময়লা পাব তাকে আইনের আওতায় আনব, জরিমানা করব।’
মেয়র আরও বলেন, ‘জনগণকে সচেতন করতে মাঠে নেমেছি। মানুষ সচেতন না হলে আমরা কখনোই এ শহর পরিষ্কার রাখতে পারব না। জনগণ যদি সচেতন হয় বর্ষায় পানি উঠলেও দ্রুত নেমে যাবে। ভৌগোলিক কারণে পানি উঠবে।’
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘পলিথিনের জন্য অনেক দোকানিকে জরিমানা করেছি। এখন পলিথিনের কারখানার তালিকা করছি। অচিরেই এসব কারখানায় অভিযান চালানো হবে।’
জলাবদ্ধতা কমাতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সঙ্গে সমন্বয় থাকার কথা জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘নগরীর ৩৬টি খালে জলাবদ্ধতা নিরসনে উন্নয়ন কাজ চলছে সিডিএর অধীনে। এতগুলো খালের মাটি উত্তোলন, রিটেইনিং ওয়াল, গাইড ওয়াল, স্লাব বসানো সময়সাপেক্ষ কাজ।’
চসিক মেয়র বলেন, ‘তাই সিডিএকে জানিয়েছি, যাতে বর্ষার আগে অন্তত চলমান প্রকল্পের অধীন নালা-খালগুলোতে জমে থাকা মাটি সরিয়ে নেওয়া হয়। খাল-নালা পরিষ্কার থাকলে জলাবদ্ধতা কমবে। নগরীর ভেতরের নালার দায়িত্ব আমাদের। আমরা এগুলো পরিষ্কার করছি, মাটি উত্তোলন করছি। এটা চলমান থাকবে।’
এ সময় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমী, নির্বাহী প্রকৌশলী মীর্জা ফজলুল কাদের, কাউন্সিলর নূর মোস্তফা টিনু, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা মোরশেদুল আলম চৌধুরী, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা. শরফুল ইসলাম মাহি উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম