গ্যাসের দাম বাড়িয়ে গেজেট, যে কারণে বাড়ল দাম
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:০৩ | আপডেট: ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:১৪
ঢাকা: বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহার করা গ্যাসের দাম বাড়িয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে সরকার। প্রতি ঘনমিটারে ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) গেজেট জারি করেছে জ্বালানি বিভাগ। নতুন এ দাম চলতি ফেব্রুয়ারি মাস থেকেই কার্যকর হচ্ছে। এদিকে দাম বাড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করেছে জ্বালানি বিভাগ।
গেজেটে সরকারি, আইপিপি ও রেন্টাল বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের জন্য গ্যাসের আগের মূল্য ছিল প্রতি ঘনমিটার ১৪ টাকা। নতুন সিদ্ধান্তে ঘনমিটার প্রতি ৭৫ পয়সা বাড়িয়ে ১৪ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে। ক্যাপটিভ পাওয়ার প্লান্ট, স্মল পাওয়া প্ল্যান্ট ও বাণিজ্যিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০ টাকা ৭৫ টাকা করা হয়েছে। তবে গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানে হয়নি। দুপুরে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জানিয়েছিলেন, ভর্তুকি সমন্বয় করতেই বিদ্যুতের সঙ্গে গ্যাসের দাম বাড়ানো হচ্ছে।
এদিকে গেজেট প্রকাশের পর পরই বিদ্যুৎ উৎপাদনে এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের ট্যারিফ পুনর্নির্ধারণ/সমন্বয় কেন করা হলো এর ব্যাখ্যা দিয়েছে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপ প্রধান তথ্য কর্মকর্তা মীর মোহাম্মদ আসলাম উদ্দীন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন, ২০০৩ এর ধারা ৩৪ক তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, জনস্বার্থে সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের বিক্রয়মূল্য ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ বিলিং মাস হতে প্রতি ঘনমিটার ১৪ টাকা থেকে ১৪.৭৫ টাকা (সমন্বয়ের হার ৫.৩৬%) এবং ক্যাপটিভ বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যবহৃত গ্যাসের মূল্য প্রতি ঘনমিটার ৩০ টাকা হতে ৩০.৭৫ টাকা (সমন্বয়ের হার ২.৫০%) নির্ধারণ করেছে।
বাংলাদেশে গ্যাসের ব্যবহারকারিদের ৮টি গ্রাহকশ্রেণি রয়েছে। এর মধ্যে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ৩৭%, শিল্পে ২৩%, ক্যাপটিভ বিদ্যুতে ১৮%, গৃহস্থালিতে ১০%, সার উৎপাদনে ৭%, সিএনজিতে ৪% এবং বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে ১% গ্যাস ব্যবহৃত হয়। প্রাকৃতিক গ্যাসের উৎপাদন, আমদানি, সরবরাহ মূল্যের সঙ্গে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্যের কারণে সরকারকে এ খাতে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আর্থিক ক্ষতি/ ভর্তুকি দিতে হবে প্রায় ৬,৫৭০.৫৪ কোটি টাকা। কৃষি সেচ মৌসুম, রমজান মাস ও গ্রীষ্মকালে বিদ্যুৎ উৎপাদনে গ্যাসের চাহিদা আরো বেশি থাকে। শিল্প, গৃহস্থালি, সার উৎপাদন, সিএনজি, বাণিজ্যিক ও চা শিল্পে মূল্য সমন্বয় অপরিবর্তিত রয়েছে।
আরও বলা হয়, এই মূল্য সমন্বয়ের ফলে এলএনজি’র বর্তমান বাজার মূল্য ও ডলার বিনিময় হার বিবেচনায় বিদ্যমান ভর্তুকি ৬০০০ কোটি টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব হতে পারে।
এর আগে ২০২৩ সালের ১৮ জানুয়ারি আবাসিক, সিএনজিচালিত যানবাহন, সার ও চা শিল্পে ব্যবহার ছাড়া অন্য সব ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। সে ওই বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকর হয়।
সারাবাংলা/জেআর/একে