ভাষা শহিদদের সম্মান জানাল ডুফা প্রজন্ম
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:৪৬
ঢাকা: একুশের চেতনা ছড়িয়ে দিতে শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে নতুন প্রজন্মদের নিয়ে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে ভাষা শহিদদের প্রতি সম্মান জানিয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বন্ধু সংগঠন ঢাকা ইউনিভার্সিটি ফ্রেন্ডস অ্যালায়েন্স (ডুফা)।
২১ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) ডুফার প্রজন্মবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির তত্ত্বাবধানে প্রভাত ফেরি করে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে যায় ডুফার সদস্যসহ তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মরা। এ সময় ডুফার সভাপতি সুজন মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক গাজী শেখ ফরিদ আহমেদ, অর্থ সম্পাদক কে এম মনজুর-ই-আলম বিপু, প্রজন্মবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সমন্বয়ক আশরাফ-উল-আলম, ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ মাহবুব কায়সার, ঢাবি’র সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান লিটুসহ নির্বাহী কমিটির সদস্য, ডুফার সাধারণ সদস্য এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা অংশ নেন।
সমন্বয়ক আশরাফ-উল-আলম বলেন, ‘ভাষার মাস ফেব্রুয়ারি। বিশ্বে সাত সহ্রাধিক ভাষা থাকলেও নিজের মাতৃভাষার জন্য কোনো জাতিকে রক্ত দিতে হয়নি। সে কারণেই ২১শে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। বায়ান্নোর ভাষা শহিদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মাতৃভাষা এবং একুশে ফেব্রুয়ারি প্রতিটি বাঙালি জনগোষ্ঠীর কাছে বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন। এই দিবসের তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতেই আমাদের এই উদ্যোগ। পাশাপাশি আমরা শিশুদের প্রমিত বাংলা উচ্চারণ এবং ব্যবহারের জন্য আরও বিশেষ কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছি।’
ডুফা প্রজন্ম ফারহান (১৩) তার অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে বলেন, ‘একুশে ফেব্রুয়ারি এলেই এতদিন স্কুলে শহিদ মিনারের ছবি আঁকতাম। কিন্তু কখনই শহিদ মিনারে আসা হয়নি। আজ বিশেষ দিনে বাবার সঙ্গে শহিদ মিনারে এসে ফুল দিতে অনেক ভালো লাগছে। বিশেষ করে সবাই সাদা-কালো পোশাক পরে এবং শহিদ মিনারের বেদিতে খালি পায়ে উঠে বিশেষ সম্মান দেখানোর বিষয়টি আমার কাছে ভালো লেগেছে।’
উল্লেখ্য, ডুফা ঢাকা বিশ্বিবিদ্যালয়ের ১৯৯৫-৯৬ ব্যাচের একটি বন্ধু সংগঠন। এই সংগঠনের প্রায় দুই হাজার সদস্য সামাজিক যোগাযোগ প্লাটফর্মে সক্রিয় রয়েছেন। নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি সাজামিক এবং জাতীয় বিভিন্ন ইস্যুতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে চলেছে ডুফা।
সারাবাংলা/পিটিএম