Wednesday 01 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দ.কোরিয়ার সহায়তা চায় সরকার

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:১০ | আপডেট: ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৩৯

সচিবালয়ে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত। ছবি: পিআইডি

ঢাকা: বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা চায় সরকার। পাশাপাশি বাংলাদেশের ওষুধের কাঁচামাল আমদানির ক্ষেত্রেও দেশটির রাষ্ট্রদূতের কাছে সহায়তা চেয়েছেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু।

রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়াং-সিক সৌজন্য সাক্ষাৎ করলে প্রতিমন্ত্রী এসব খাতে সহযোগিতার কথা বলেন।

একই দিনে ভুটান ও থাইল্যান্ডের দুটি প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী। এ সময় এই দুই দেশে বাণিজ্য বাড়ানোর ওপরে জোর দেন তিনি।

কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে আলোচনায় বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, ওষুধের কাঁচামাল ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রয়োজন। যোগাযোগ ব্যবস্থায় পরিবেশ উপযোগী বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদাও রয়েছে। স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পরের বছরগুলোতে বাংলাদেশ কোরিয়া থেকে এলডিসিভুক্ত দেশের সুবিধা কামনা করে।

কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, দুদেশের সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করতে নির্দিষ্ট ফ্রেমওয়ার্ক ধরে যৌথভাবে কাজ করতে হবে। আশা করি আসন্ন ডাব্লিউটিও সম্মেলনে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে পৃথক আলোচনা হবে।

এর আগে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সচিবালয়ে বৈঠক করেন ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েন্টসিল। এ সময় প্রতিমন্ত্রী টিটু বলেন, বাংলাদেশে ও ভুটানের মধ্যে যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক, তা আগামীতে দীর্ঘতর হবে। ভুটান থেকে বাংলাদেশ ফল, গ্রানাইটসহ অন্যান্য পণ্য আমদানি করে থাকে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ নিয়মিত রফতানিযোগ্য পণ্যের তালিকায় আরও পণ্য যোগ করতে উদ্যোগ নিচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

ভুটানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। বলেন, ভুটানের জন্য বাংলাদেশ অনেক অবদান রেখেছে। ভুটানের অধিকাংশ চিকিৎসক বাংলাদেশ থেকে ডিগ্রি লাভ করেছে। ভুটানে বাংলাদেশের ওয়ালটন, প্রাণ, হাতিলের পণ্যের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে।

এরপর বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতে থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সামিতমোর বলেন, বাণিজ্য সম্প্রসারণে দুদেশের মধ্যে আরও সমঝোতা ও চুক্তির প্রয়োজন আছে। এর ফলে বাণিজ্যিক চ্যালেঞ্জ দূর করা যাবে। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে থাইল্যান্ড ইউএনএসকাপ আয়োজনে পেলে আরও সম্পূরক আলোচনা করা হবে।

বাংলাদেশকে বিনিয়োগবান্ধব উল্লেখ করে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে যাচ্ছেন।

সারাবাংলা/জেআর/টিআর

আহসানুল ইসলাম টিটু দক্ষিণ কোরিয়া বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর