Friday 10 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘শুধু মেগা প্রতিষ্ঠান নয়, তৃণমূলে অগ্রগতিও সরকারের লক্ষ্য’

সারাবাংলা ডেস্ক
১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:২৮ | আপডেট: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৭:৪৬

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছবি: পিএমও

ঢাকা: দেশের উন্নয়ন করতে শুধু মেগা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা নয়, তৃণমূলেও অগ্রগতি করা সরকারের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসঙ্গে বাংলাদেশকে আবার যাতে স্বাধীনতা বিরোধীদের দেশে পরিণত করতে না পারে এবং পেছনের দিকে ঠেলে দিতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে জামার্নিতে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এই আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। মিউনিখের হোটেল বার্গারহাউস গার্চিং’এ এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

বিজ্ঞাপন

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। অবশ্যই এই অগ্রগতি অব্যাহত থাকবে। দেশকে কেউ যেন পেছনের দিকে ঠেলে দিতে ও রাজাকারের দেশে পরিণত করতে না পারে সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন।’

বাংলাদেশকে একটি ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, দেশে প্রতিটি ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবে। মুক্তিযুদ্ধের ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় জাতির পিতার বাংলাদেশকে একটি সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট সোনার বাংলাদেশে রূপান্তরিত করব।

তিনি বলেন, ‘কখনই ভাবি না আমার কী দরকার, বরং ভাবি দেশ এবং জনগণের উন্নতির জন্য কী করতে পারি। আমার সন্তানরাও জনগণের কল্যাণে তাদের উৎসর্গ করেছে।’

আাওয়ামী লীগকে গণমুখী দল হিসেবে আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতির পিতার নেতৃত্বে ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে দেশের মানুষ মাতৃভাষা বাংলা ও দেশের স্বাধীনতাসহ সব কিছু পেয়েছে। আওয়ামী লীগ আমার সবচেয়ে বড় শক্তি। আমাদের দল ক্ষমতায় থাকায় আমরা কোভিড-১৯ মহামারির মতো বিভিন্ন দুর্যোগ মোকাবেলা করতে পেরেছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে। কারণ তারা প্রয়োজনে দলকে সবসময় পাশে পায়। আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের ব্যাপক আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন করেছেন। আমাদের উন্নয়ন লক্ষ্য শুধু মেগা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা নয়, তৃণমূলেও অগ্রগতি করা।’

বিএনপিকে লুটেরাদের দল আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই দল জনগণের কল্যাণে কিছুই করে না, বরং নিজেদের ভাগ্য গড়ে তোলে। তারা গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও মানুষকে পুড়িয়ে মারার কারণে পরাজয়ের ভয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা জানে, জনগণ তাদের ভোট দেবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘একজন সামরিক স্বৈরশাসকের দ্বারা গঠিত দলটি সবসময় এজেন্সিতে বিশ্বাস করে এবং তাদের সাহায্য ছাড়া তারা কিছুই করতে পারে না।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭৫ সালের পর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ছিল সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য। গত সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ বিশেষ করে নারীরা অবাধে ভোট দিয়েছেন। এবার আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় না বসালে ২০০৯ সাল থেকে গত ১৫ বছরে আওয়ামী লীগ শাসনামলে যে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে, তা নষ্ট হয়ে যেত। লুটেরা (বিএনপি) সব লুট করে নিতো।’

এ সময় ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি পুনরায় আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকার সারাদেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের বিদেশি অংশীদারদের সঙ্গে অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান জানান তিনি।

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সরকার বাংলাদেশকে ডিজিটাল করেছে এবং আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট বাংলাদেশে রূপান্তর করবে।

অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং মিউনিখের স্থানীয় মেয়র বক্তব্য দেন। জার্মানিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন।

সারাবাংলা/এনএস

জার্মান টপ নিউজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর