এমএম কলেজে ছাত্রদল কর্মীকে মারধরে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৮:১০ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১০:০৩
যশোর: যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয় (এম এম কলেজ) শাখা ছাত্রদলের এক কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। তবে জেলা ছাত্রলীগ বলছে, ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ সত্য নয়। এই কলেজে ছাত্রলীগের কমিটিও নেই।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ছাত্রদল কর্মীর নাম কানোয়ার হোসেন (২৪)। তিনি কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অর্নাস চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন তিনি।
কানোয়ার জানান, বৃহস্পতিবার রাতে কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষা সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে। সেই শিক্ষা সফরের টি-শার্ট আনতে কলেজে যান তারা। ক্যাম্পাসে পৌঁছালে ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল ইসলাম ও এনামুল ইসলাম তাদের ডেকে নেন। এরপর কলেজ ছাত্রদলের সভাপতির সঙ্গে থাকা একটি ছবি দেখিয়ে তারা বলেন, ‘তুই ছাত্রদল করিস’।
কানোয়ার অভিযোগ করে বলেন, এই বলে কলেজের ছাত্র কমন রুমে নিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করে ৮-১০ জন মিলে বেধড়ক মারধর করেন। একপর্যায়ে কমনরুমের বাথরুমে নিয়ে সাত-আটজন মিলে স্টাম্প দিয়ে মারতে থাকেন। কলেজের শিক্ষকরা সেখানে উপস্থিত হলে দক্ষিণ গেটে নিয়ে সেখানেও মারধর করে করা হয়।
আহত ছাত্রদল কর্মীর খালা সালমা খাতুন বলেন, গ্রাম থেকে শহরে পড়ালেখা করতে পাঠিয়েছি ছেলের ভবিষ্যত গড়ার জন্য। কানোয়ার সক্রিয় রাজনীতি করে না। ক্যাম্পাসে ছাত্রদের নিরাপত্তা না থাকলে আর কোথায় থাকবে? এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
এদিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছাত্রদল কর্মীর চিকিৎসার খোঁজ-খবর নিতে যান কলেজ ও জেলা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। জেলা ছাত্রদলের সভাপতি রাজিদুর রহমান সাগর বলেন, ‘সারাদেশের ক্যাম্পাসগুলোতে ছাত্রলীগের নেতারা অছাত্র দিয়ে সংগঠন চালাচ্ছে। ক্যাম্পাসে ধর্ষণের মতো ঘটনাও ঘটাচ্ছে। এর আগেও এমএম কলেজের কর্মসূচিতে হামলা করেছে ছাত্রলীগ। এই দায় কলেজ প্রশাসনকে নিতে হবে। এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।’
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সালাউদ্দিন কবির পিয়াস বলেন, ‘এম এম কলেজে বর্তমানে ছাত্রলীগের কমিটি নেই। ছাত্রদলের কর্মীকে মারধরে ছাত্রলীগ জড়িত নয়। তাদের অভিযোগ মিথ্যা।’
যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ অধ্যাপক মর্জিনা আক্তার বলেন, মারামারির কোনো ঘটনা ঘটেনি। কমনরুমে শিক্ষার্থীদের জটলার খবর শুনে কয়েকজন স্যারকে পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু স্যাররা তেমন কোনো ঘটনা দেখতে পাননি। তারপরও ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/টিআর