‘২০২৫ সালের মধ্যে আরও ৪৮টি গ্যাস কূপ খনন করা হবে’
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:১৪ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:১৬
ঢাকা: ২৫ সালের মধ্যে আরও ৪৮টি গ্যাস কূপ খনন করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। তিনি বলেন, এর বাইরেও ১০০টি কূপ খননের কার্যক্রম নেওয়া হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) ‘Gas Demand-Supply Scenario; Scope of Seismic Survey & Enhancement of Drilling Activities To Expedite Hydrocarbon Production’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
গ্যাসের চাহিদা উত্তরোত্তর বাড়ছে উল্লেখ করে নসরুল হামিদ বলেন, ‘চাহিদার সঙ্গে সরবরাহের সমন্বয় করে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখা হবে।’ এ সময় তিনি প্রযুক্তির সহায়তায় সমন্বিতভাবে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলনে কার্যক্রম আরও বাড়ানো হবে বলেও জানান।
তিনি বলেন, ‘বিশেষজ্ঞদের মতামতের ভিত্তিতে পরিকল্পনা সাজাবো। ২০২৯-৩০ সালের দিকে গ্যাসের চাহিদা হতে পারে ৬৬৫৫ এমএমসিএফডি। অন্যদিকে, নিজস্ব খনিতে মজুদ কমে যাচ্ছে। বিকল্প জ্বালানির চিন্তাও আমাদের করতে হচ্ছে। প্রতিটি কাজের টাইম লাইন থাকা বাঞ্ছনীয়।’
জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সমালোচনা না করে কীভাবে সরবরাহ বাড়ানো যায়-তার সুষ্পষ্ট প্রস্তাবনা প্রয়োজন। দেশীয় গ্যাস আমদানিকৃত এলএনজির সঙ্গে মিশিয়ে প্রতি কিউবিক মিটার গ্যাসের কেনা দাম পড়ে ২৪.৮০ টাকা এবং গড়ে বিক্রি করা হয় প্রতি কিউবিক মিটার ২১.৪১ টাকা। এই ঘাটতি সুষম উন্নয়ন ব্যাহত করতে পারে। তা ছাড়াও বিদ্যুতে চাহিদা মতো গ্যাস দিতে পারলে ভর্তুকি প্রায় ৭০ ভাগ কমে যাবে।’
কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাখরাবাদ গ্যাস বিতরণ কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আনোয়ার ইসলাম ও পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক মেহেরূর হাসান।
পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. নূরুল আলম বক্তব্য দেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক ড. বদরুল ইমাম, অধ্যাপক ড. এ এসএম ওবায়দুল্লাহ, অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন ভূইয়া, সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূ-তাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. হুসেন মো. সায়েম, অধ্যাপক মো. সাখাওয়াত হোসেন, বুয়েট’র অধ্যাপক ড. মো. মাহবুবুর রহমান ও অধ্যাপক ড. মো. ইজাজ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম