চবিতে ৬ ঘণ্টার ব্যবধানে ফের ছাত্রলীগের ২ গ্রুপে সংঘর্ষ
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:০৫ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:৩৪
চট্টগ্রাম ব্যুরো : মাত্র ছয় ঘণ্টার ব্যবধানে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে ফের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার দিকে চবি ক্যাম্পাসে শাহজালাল ও শাহ আমানত হলের মধ্যবর্তী সড়কে এ সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষে জড়িতরা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শাটল ট্রেনের বগিভিত্তিক ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও চুজ ফ্রেন্ডস উইথ কেয়ারের (সিএফসি) নেতাকর্মী। সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতাকর্মীরা চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন এবং সিএফসি’র নেতাকর্মীরা শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলকে ‘বড় নেতা’ মানেন বলে ক্যাম্পাসে আলোচনা আছে।
ঘটনাস্থলে দেখা গেছে, দু’গ্রুপের নেতাকর্মীরা দুই ভাগে ভাগ হয়ে দুটি হলের সামনে অবস্থান নেয়। নিজ নিজ অবস্থান থেকে প্রথমে পরস্পরকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ সময় কয়েকজনের হাতে দেশীয় ধারালো অস্ত্র দেখা যায়।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের ‘কালাম স্টোরের’ সামনে সিএফসির কর্মী ২০২০-২১ বর্ষের শিক্ষার্থী ফাহিমকে মারধর করে সিক্সটি নাইনের কয়েকজন কর্মী। এরই জের ধরে সংঘর্ষে জড়ায় ছাত্রলীগের উপগ্রুপ দু’টি।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে প্রক্টরিয়াল বডির সদস্য ও পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তবে সংঘর্ষে জড়িতদের নিয়ন্ত্রণে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে। তবে তাদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে শান্ত হতে থাকে।
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে সিএফসির নেতা ও চবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সাদাফ খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘সিক্সটি নাইনের ছেলেরা ইচ্ছাকৃতভাবে সংঘর্ষ বাধানোর জন্য আমাদের এক জুনিয়রকে মারধর করেছে। এর জের ধরেই সংঘর্ষ হয়েছে।’
সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও চবি ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাঈদুল ইসলাম সাঈদ বলেন, ‘সিক্সটি নাইনের জুনিয়ররা আমাদের সিনিয়র একজনের সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। এজন্য সংঘর্ষ হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর সৌরভ সাহা জয় বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে আছি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।’
এর আগে, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে ২টা পর্যন্ত দফায় দফায় সংঘর্ষ হয় ছাত্রলীগের উপগ্রুপ সিক্সটি নাইন ও বিজয়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে। সংঘর্ষে অন্তত ১৮ জন আহত হন।
সারাবাংলা/আরডি/পিটিএম