ফের বাড়ল মূল্যস্ফীতি, গ্রামের চেয়ে শহরে বেশি
১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৫০ | আপডেট: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৩:৪০
ঢাকা: আগের দুই মাসে কিছুটা কমলেও জানুয়ারিতে এসে ফের বেড়েছে মূল্যস্ফীতি। এ মাসে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে। এবারে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান ভূমিকা রেখেছে খাদ্য বহির্ভূত পণ্য। নভেম্বরে এরকম পণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮ দশমিক ৫২ শতাংশ, যা জানুয়ারিতে বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। অন্যদিকে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশে।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জানুয়ারি ভোক্তা মূল্য সূচকের (সিপিআই) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ চিত্র উঠে এসেছে।
বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, এবার গ্রামের চেয়ে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতি বেশি হয়েছে। জানুয়ারিতে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশে, আগের মাস ডিসেম্বরে যা ছিল ৯ দশমিক ১৫ শতাংশ। শহরে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৯৮ শতাংশ আর খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৩ শতাংশ।
এদিকে গ্রামে জানুয়ারিতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৭০ শতাংশে, ডিসেম্বরে যা ছিল ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। গ্রামে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে ছিল ৯ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গ্রামে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ১৯ শতাংশ, যা ডিসেম্বরে ছিল ৮ দশমিক ৪১ শতাংশ।
চলতি অর্থবছর গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে আমদানি করতে না পারায় সংকট আরও বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য এত দিন মূলত ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা চলছে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুদের হার বাড়লে মানুষ সাধারণত ব্যাংকে আমানত রাখতে উৎসাহিত হন। গত কয়েক মাস ধরে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টাও এবার ব্যর্থ হয়েছে। কয়েক মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও বেড়েছে খাদ্য বহির্ভূত মূল্যস্ফীতি।
সারাবাংলা/জেজে/টিআর
খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি টপ নিউজ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো বিবিএস মূল্যস্ফীতি