‘অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রফতানি বহুমুখী করতে হবে’
১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:১৫ | আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০০:১৭
ঢাকা: রফতানি থেকে আয় বাড়াতে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে রফতানি বহুমুখীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ থেকে আমসহ কৃষিপণ্য রফতানি বাড়ানোর অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তৈরি পোশাক, ওষুধ পণ্য, প্লাস্টিক, চামড়া, পাটজাত পণ্য, জাহাজ নির্মাণ ও দক্ষ জনশক্তি রফতানি বহুমুখীকরণে ফোকাস করার কয়েকটি ক্ষেত্র হতে পারে।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পুরাতন এলিফ্যান্ট রোডে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিআইআইএসএস) মিলনায়তনে ‘অর্থনৈতিক বৈচিত্র্য ও বৈশ্বিক বাজার: বাংলাদেশের সুযোগ ও অগ্রগতি’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাবসহ একাধিক ফ্রন্টের চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও গত ১৫ বছরে বাংলাদেশ অসাধারণ উন্নতি করেছে। এটি শুধু জাদু নয়, এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাদুকরী নেতৃত্বের কারণে হয়েছে।
হাছান মাহমুদ আরও বলেন, সরকার ভূ-রাজনৈতিক বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিচ্ছে এবং ভূ-রাজনৈতিক দৃশ্যপট বিকশিত হচ্ছে। এ পরিস্থিতি সুযোগ ও চ্যালেঞ্জ উভয়ই তৈরি করে এবং সরকার বিচক্ষণতার সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
বিআইএসএসের চেয়ারম্যান রাষ্ট্রদূত এ এফ এম গাউসুল আজম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক সাবেক প্রধান সমন্বয়কারী মো. আবুল কালাম আজাদ, পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও দেশের সাবেক রাষ্ট্রদূতদের অংশ নেওয়া সেমিনারে বিআইএসএসের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবু বকর সিদ্দিক খান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির।
আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ সমাজবিজ্ঞান অনুষদের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. দ্বীন ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. রোজানা রশীদসহ অন্যরা।
সারাবাংলা/জেআর/টিআর