লোহাগাড়ায় পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ
১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:১২ | আপডেট: ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:৪৯
ঢাকা: চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পাহাড় ও কৃষি জমির মাটি কাটা সাত দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে পাহাড় কাটায় জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে পরিবেশ আইনের বিধান অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি পরবর্তীতে কেউ যাতে পাহাড় কাটতে না পারে সে জন্য চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে একটি মনিটরিং টিম গঠন করতে বলা হয়েছে।
জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) দায়ের করা এক রিটের শুনানি নিয়ে রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. খসরুজ্জামান এবং বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তাকে সহায়তা করেন আইনজীবী সঞ্জয় মণ্ডল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রুলে লোহাগাড়ায় পাহাড় ও মাটি কাটার বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের নিস্ক্রিয়তা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছেন আদালত এবং পাহাড় কাটা বন্ধে ব্যবস্থা নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
চার সপ্তাহের মধ্যে পরিবেশ সচিব, পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) পরিবেশ অধিদফতর চট্টগ্রামের পরিচালক, চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসকসহ (ডিসি) সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদেশের বিষয়টি সারাবাংলাকে নিশ্চিত করে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫-এর ধারা ৬ এর খ অনুযায়ী বিনা অনুমতিতে পাহাড় কাটা নিষেধ। কিন্তু কিছু প্রভাবশালী মহল আইন অমান্য করে পাহাড় ও কৃষি জমি ধ্বংস করছে। লোহাগাড়ায় প্রতিনিয়ত পাহাড় কাটার বিষয়ে গণমাধ্যম প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। সে কারণে জনস্বার্থে আমরা হাইকোর্টে আবেদন করি।
আদালত শুনানি নিয়ে সাত দিনের মধ্যে লোহাগাড়ায় পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি পরবর্তীতে কেউ যাতে পাহাড় কাটতে না পারে সেজন্য চট্টগ্রামের ডিসিসহ স্থানীয় প্রশাসনকে একটি মনিটরিং টিম গঠন করতে বলেছেন আদালত।
এর আগে চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় পাহাড় ও কৃষি জমির উপরিভাগের মাটি কাটা নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়। পরে জনস্বার্থে এ বিষয়ে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে গত ৮ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদালত আজ রুলসহ পাহাড় কাটা বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/একে