শেকৃবি ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতালে ৫০ টাকার ভিজিট ৩০০ টাকা!
৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:২৪ | আপডেট: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২১:২৫
শেকৃবি: শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ভেটেরিনারি টিচিং হাসপাতাল চালু হওয়ার বছর পার না হতেই নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। অতিরিক্ত মূল্যে সেবাদান, নিজস্ব প্যাড ব্যাবহার না করে বেসরকারি ক্লিনিকের প্যাড ব্যবহারসহ নানা অভিযোগ পাওয়া যাছে।
গত বছর মে মাসে চালু হওয়া হাসপাতালতে স্থায়ীভাবে একজন চিকিৎসক নিয়োগ দেওয়া হয় গত ১৯ ডিসেম্বর। এরপর থেকে নিয়মিত বিভিন্ন পোষা প্রাণি ও গবাদিপশুর চিকিৎসা দিচ্ছেন নিয়োগপ্রাপ্ত চিকিৎসক ডা. রূপকুমার।
তবে চিকিৎসা সেবার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ এনে একাধিক ব্যক্তি ও ইন্টার্ন ডাক্তার বলেন, ‘প্রাণিভেদে ফি তালিকা নির্ধারণ করা থাকলেও সেটা অনুসরণ করা হচ্ছে না।’
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, গবাদিপশুর (ছাগল) চিকিৎসা নিতে আসা ব্যাক্তির থেকে ভিজিট বাবদ নেওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা এবং মাইনর সার্জারি খরচ বাবদ নেওয়া হচ্ছে ২০০ টাকা। কিন্তু অফিস আদেশ অনুযায়ী গবাদিপশু চিকিৎসায় রেজিস্ট্রেশন (ভিজিট) বাবদ ব্যয় ৫০ টাকা এবং মাইনর সার্জারি বাবদ ব্যয় ১০০ টাকা হওয়ার কথা।
পাঁচ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি ক্লিনিক হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে ‘ভেট এন্ড পেট’ কেয়ার নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের প্যাড। সেখানে চিকিৎসক রূপ কুমারের নাম, ফোন নাম্বার ও ক্লিনিকের ঠিকানা ঢাকার লালমাটিয়া উল্লেখ করা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনুষদের একাধিক শিক্ষক বলেন, ‘সেবা দেওয়ার নির্ধারিত মূল্যের বাইরে অতিরিক্ত ফি আদায় নিঃসন্দেহে একটি অনৈতিক কাজ। এছাড়াও সরকারি হাসপাতালে বেসরকারি ক্লিনিকের নিজস্ব প্যাডে প্রেস্ক্রিপশন করা বেআইনি। এই হাসপাতালটি মূলত শিক্ষার্থীদের হাতে কলমে খেখানোর জন্য। এখন এই হাসপাতাল যদি ব্যক্তিগত ব্যবসায়িক স্বার্থে ব্যবহৃত হয় এবং উচ্চ ফি আদায় করা হয় তাহলে সেবাগ্রহীতার সংখ্যা কমতে থাকবে।’
বেসরকারি ক্লিনিকের প্যাড ব্যবহারের বিষয়ে জানতে চাইলে ডা. রূপ কুমার বলেন, ‘আমাকে এখন পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে কোনো প্যাড দেওয়া হয়নি। তাই আমি আমার ব্যক্তিগত প্যাড ব্যবহার করছি।’
বেশি ফি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমাদের যেহেতু হাসপাতাল থেকে গ্লাভস ও অন্য সরঞ্জাম দেওয়া হয় না তাই এসবের দাম হিসেবে আমরা নির্ধারিত ফি থেকে কিছু বেশি আদায় করছি। আর সার্জারির জন্য আলাদা ফি ও ওষুধের জন্য তার দাম রাখা হচ্ছে।’
এসব বিষয়ে ‘এএসভিএম অনুষদে’র ডিন অধ্যাপক ডা. কে বি এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালের সরঞ্জামের জন্য আমরা দুইবার রিকুইজেশন দিয়েছি, এখনও পাইনি। হাসপাতালের প্যাড তৈরির জন্য একটি কমিটি কাজ করছে।’
সারাবাংলা/এমও