Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘সীমান্তে তো আমরা শঙ্কা-আতঙ্ক জিইয়ে রাখতে পারি না’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:১৬

ফাইল ছবি: ওবায়দুল কাদের

ঢাকা: মিয়ানমারের ইস্যুতে সরকার জাতিসংঘকে চিঠি লিখে উদ্বেগের কথা জানাবে বলে ফের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, চিঠি তো অবশ্যই যাবে। কারণ, সীমান্তে তো আমরা শঙ্কা-আতঙ্ক জিইয়ে রাখতে পারি না। মিয়ানমানের অভ্যন্তরীণ সংঘাত আমাদের উদ্বেগের মধ্যে ফেলবে, সেটা তো আমাদের জন্য শুভ নয়।

বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্যদের দলীয় মনোনয়ন ফরম বিক্রি ও জমা দেওয়ার শেষ দিনে এই সংবাদ সম্মেলন করে দলটি।

বিজ্ঞাপন

মিয়ানমার ইস্যুতে জাতিসংঘের কাছে চিঠি লিখে উদ্বেগ জানানোর অগ্রগতির বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘উদ্যোগ তো ফরেন অফিস নেবে। সেটা একটা প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে হবে। চিঠি তো অবশ্যই যাবে। জাতিসংঘকে বিষয়টা লিখিত আকারে আমাদের জানানো উচিত। সেটা ফরেন মিনিস্ট্রি অবশ্যই করছে।’

প্রতিবেশি ভারতর সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না? জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এর রেশ ভারতেও গেছে। মিয়ানমারের ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে বেশকিছু লোকের অনুপ্রবেশ ঘটেছে এবং কিছু সীমান্তরক্ষীও ওই দিকে গেছে। কাজেই তাদেরও একটা উদ্বেগের বিষয় আছে। তাদের যে নিরাপত্তা উপদেষ্টা (অজিদ দোভাল) তিনি আমাদের মাননীয় প্রধামন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনাও করে গেছেন। আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এখন ভারতে আছেন। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং অজিদ দোভালের সঙ্গে এর মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ আলাপ-আলোচনা করেছেন।’

তিনি বলেন, ‘বিএনপির আন্দোলন এত ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে এটা তারা ভাবতে পারেনি। তারা মনে করেছে, তারা কিছুদূর এগিয়ে নিলে বাকিটা বিদেশিরা সম্পন্ন করবে। শেখ হাসিনার সরকারকে ক্ষমতা থেকে হটাতে এ ধরনের একটা প্ল্যান ছিল তাদের। অথবা ইলেকশনের পরে ভিসানীতি প্রয়োগ করবে, অথবা নিষেধাজ্ঞা আসবে। সব আশাই শূন্য হয়ে গেছে, সব আশাই মরিচিকা হয়ে গেছে। কাজেই তারা এখন যা খুশি তা বলছে। বলতে হয় সেজন্য বলছে। কর্মীদের চাঙ্গা রাখতে হবে, সেজন্য কিছু বলতে হয়। আন্দোলনে তাদের কোমড় ভেঙে গেছে। আন্দোলন করার শক্তি তাদের নেই।’

বিজ্ঞাপন

সরকার রোহিঙ্গাদের অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিচ্ছে বিএনপির এমন অভিযোগের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি যখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপিই প্রথম রোহিঙ্গাদের আসতে দেয়। তারা কি ভুলে গেছে? যখন তারা ক্ষমতায় ছিল। তখন তারা যে সুযোগ দিয়েছিল সেটা তারা ভুল গেছে? আমাদের নেত্রী যেটা করেছেন সেটাকে জাতিসংঘসহ সারা দুনিয়া প্রশংসা করেছে। কারণ, তখনকার প্রেক্ষিতে মানবতার স্বার্থে সীমান্তকে উন্মুক্ত করে দিয়েছেন উদারভাবে। এটা শেখ হাসিনার উদার নেতৃত্ব। এ কারণে তাকে মানবতার মা বলা হয়।’

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আমাদের নীতি হচ্ছে, যেকোনো সমস্যা আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করব। আমরা গায়ে পড়ে কোনো উসকানিতে বিভ্রান্ত হব না। এখনো সেই নীতি বহাল আছে।’

সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য মনোনয়ন প্রত্যাশায় দলের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মীর মনোনয়নপত্র সংগ্রহের বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এত বিপুল সংখ্যক প্রার্থী! আপনার কি মনে আছে গত নির্বাচনের সময় কত হয়েছিল? সেটা আমরা মোকাবিলা করিনি। তখনও আমরা প্রার্থিতা দিয়েছি। আসন আরও কম ছিল। এখন সিট আরও বেশি আছে। সিট এখন ৪৮টা। তখন ৪৩টা সিট আমাদের ছিল। এখন আরও ৫টা আসন বেশি।’

তিনি বলেন, ‘আমরাই এই দেশে একমাত্র রাজনৈতিক দল যারা গণতন্ত্রের কথা শুধু মুখেও বলে না, নিজেদের ভেতরেও চর্চা করে। বিএনপির নিজের দলেই গণতন্ত্র নাই। তারা দেশে গণতন্ত্র কিভাবে প্রতিষ্ঠা করবে? তাদের দলে কোনো কাউন্সিল নাই। আমি তৃতীয়বার সাধারণ সম্পাদক হয়ে গেছি। এর মধ্যে ফখরুল সাহেব একটিও কাউন্সিল করেননি। ওই যে কবে একটা কাউন্সিল করেছে, ওয়ার্কিং কমিটি করেছে ৫০০ জনের। মিটিং একটা হয়েছে লা মেরিডিয়ানে। মিটিং করারও জায়গা নাই।’

এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দফতর সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

ওবায়দুল কাদের টপ নিউজ মিয়ানমার

বিজ্ঞাপন

রিশাদ-জাহানদাদে কুপোকাত সিলেট
৭ জানুয়ারি ২০২৫ ২০:২১

আরো

সম্পর্কিত খবর