Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

১৮ বছর পর ধর্ষকের যাবজ্জীবন

ডিস্ট্রিক্ট করসেপন্ডেন্ট
৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:১০ | আপডেট: ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২৩:৫১

সিরাজগঞ্জ: সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে এক প্রতিবন্ধী নারীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. সোনাউল্যাহ (৫৫) নামে একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড ও অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক বেগম সালমা খাতুন আসামির উপস্থিতিতে এই রায় দেন।

বিজ্ঞাপন

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিরাজগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বেঞ্চ সহকারী (পেশকার) মো. মুক্তার হোসেন বলেন, আসামি এই মামলায় জামিনে ছিলেন। আজ রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত হন। আসামির উপস্থিতিতে আদালত এই রায় দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

মামলার এজাহার ও বিচার কার্যক্রমের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ২০০৫ সালে বাড়িতে একা পেয়ে ২০ বছরের মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণ করেন সোনাউল্যাহ। কিন্তু ভুক্তভোগী প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিষয়টি সামনে আসেনি। এরপর অনেকদিন কেটে গেলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে পড়লে বিষয়টি সবার নজরে আসে। তখন নারী ২৮ সপ্তাহের গর্ভবতী। এরপর ভুক্তভোগীর বাবা আদালতে মামলার আবেদন দিলে আদালত কাজিপুর থানা পুলিশকে মামলাটি (এফআইআর) এজাহার হিসেবে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দেন। এরপর পুলিশ মামলাটি নিয়ে তদন্ত করে আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

তিনি বলেন, এর মধ্যেই সেই প্রতিবন্ধী নারী একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন (যার বর্তমান বয়স ১৭ বছর)। এভাবেই মামলাটি চলতে থাকে। মাঝখানে বাদি-বিবাদি হয়তো আপস মীমাংসাও করে নেন। আদালতের বর্তমান বিচারক এই আদালতে দায়িত্ব পাওয়ার পরে তিনি অভিযুক্ত ও ধর্ষণের ফলে জন্ম নেওয়া ছেলের ডিএনএ পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। এর মাঝেই সকল সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। এর মাঝে বাদি আপস হয়ে গেছে বলেও জানান।

বিজ্ঞাপন

মুক্তার হোসেন বলেন, এর মধ্যে পরীক্ষার রিপোর্টে  ডিএনএ মিল পাওয়া যায়। এরপর চিকিৎসকের সাক্ষ্য নেওয়া হলে তিনিও বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তখন সকল সাক্ষ্য ও সাক্ষীর বক্তব্য পর্যালোচনা করে অপরাধ প্রমাণ হওয়ায় আদালত আজ এই রায় ঘোষণা করেন।

তিনি আরও বলেন, তারা আপস মীমাংসা হলেও যেহেতু অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং সেটা প্রমাণ হয়েছে তাই এই রায় দেওয়া হয়। মামলা হওয়ার প্রায় দেড় যুগ পরে এমন রায় উল্লেখ করে তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পরে হলেও ভুক্তভোগী ন্যায় বিচার পেলেন। এছাড়াও ভুক্তভোগী নারীর গর্ভে জন্ম নেওয়া সন্তানটি তার মায়ের হেফাজতেই আছে বলেও জানান তিনি।

সারাবাংলা/আইই

টপ নিউজ ধর্ষণ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর