‘বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে চলবে জাহাজ’
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৪৯ | আপডেট: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৫৫
ঢাকা: সরাসরি জাহাজ চলাচলের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ড কাজ করছে বলে জানিয়েছেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। থাইল্যান্ডের র্যানং পোর্ট ও চট্টগ্রাম পোর্টের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ চলাচল কার্যক্রম শিগরিরই শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত থাইল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর সাক্ষাৎ শেষে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন তিনি।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘দুই বছর আগে এ সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে। দ্রুত দু’দেশের যৌথ গ্রুপের মিটিং হবে। ব্যবসায়িক কাজ দ্রুত চালু করতে পারব। বর্তমানে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো হয়ে থাইল্যান্ডে যেতে হয়। এতে জাহাজ চলাচলে সময় লাগে ২০ থেকে ২২দিন। সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হলে সময় লাগবে ৩ থেকে ৪ দিন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের নতুন সরকারকে থাইল্যান্ড অভিনন্দন জানিয়েছে। থাইল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের ৫০ বছরের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। সে সম্পর্ক যাতে আরও জোরদার হয়, সে লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করছে। বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থায় (আইএমও) ‘সি’ ক্যাটাগরিতে নির্বাচিত হওয়ায় থাইল্যান্ড অভিনন্দন জানিয়েছে এবং ভালোভাবে কাজ করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছে। দু’দেশের মধ্যে সংস্কৃতিসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে খুব মিল রয়েছে। আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বাড়াতে কাজ করছি।’
মিয়ানমারের সংঘাত প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেকোনো সংঘাত ঝুঁকি পরিস্থিতি তৈরি করে। এটা মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এ সংঘাতের কোনো প্রতিফলন ঘটলে আমরা চুপ থাকব না। চোখ বুঝে থাকব না। তাদের বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কিছু সদস্য এসেছে। আমরা নিবিড় পর্যবেক্ষণে আছি। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, দেশের সার্বিক নিরাপত্তা, দেশের মানুষের জীবন, জীবিকায় কোন সমস্যা হলে আমরা বসে থাকব না। মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত আছি। মিয়ানমারের সংঘাতে টেকনাফ স্থলবন্দরে কোনো প্রভাব পড়ার সংবাদ নেই। কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার কোনো খবর নেই।’
সারাবাংলা/জেআর/এনএস
টপ নিউজ থাইল্যান্ড নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশ