চবি ক্যাম্পাসে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপে সংঘর্ষ, আহত ২
৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১১:০৯ | আপডেট: ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৩:২৫
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে চবি ছাত্রলীগের ‘বিজয় উপগ্রুপের’ দু’পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস এবং সোহরাওয়ার্দী হলের নেতা সাখাওয়াত হোসেনের অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয় বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চবি’র শিক্ষা ও গবেষণা বিভাগের ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষের শহীদুল ইসলাম ও সাংবাদিকতা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মামুনের মধ্যে সংঘাতের সূত্রপাত হয়। শহীদুল সোহরাওয়ার্দী হলের সামনে মামুনকে তুচ্ছ বিষয়ের জেরে দা দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করেন। খবর পেয়ে ইলিয়াসের অনুসারীরা দেশি অস্ত্র নিয়ে শহীদুলকে ধাওয়া দেয়। সোহরাওয়ার্দী হলের সাখাওয়াত গ্রুপের মুখোমুখি হয় তারা। এরপর ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং ইট-পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এদের মধ্যে শহীদুল বিজয় গ্রুপের সাখাওয়াত এবং মামুন একই গ্রুপের ইলিয়াসের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
ঘটনা প্রসঙ্গে শহীদুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, ‘ইলিয়াস কিছুদিন আগে জুনিয়রকে ব্যবহার করে আমাদের সঙ্গে বেয়াদবি করেছে। সেজন্য আজ তাদের আমরা একটু শাসন করেছি।’
তবে মারধরের শিকার মামুনকে একাধিকবার কল করেও পাওয়া যায়নি।
জানতে চাইলে বিজয় উপগ্রুপের একাংশের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইলিয়াস সারাবাংলাকে বলেন, ‘আমার এক জুনিয়র কর্মীকে সোহরাওয়ার্দী হলের কয়েকজন ছেলে মারধর করে। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’
বিজয় উপগ্রুপের অপর অংশের নেতা সাখাওয়াত হোসেন সারাবাংলাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় আমার বা আমার জুনিয়রদের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই। এটা সম্পূর্ণই তাদের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। তারা অতর্কিতভাবে হলের সামনে ছাত্রদের ওপর আক্রমণ করেছে।’
সংঘর্ষের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নুরুল আজিম শিকদার সারাবাংলাকে বলেন, ‘ঘটনার খবর পেয়েই আমরা সেখানে যাই। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। আমরা এখন পর্যন্ত দুজন আহতের খবর পেয়েছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জয়নুল আবেদিন সারাবাংলাকে বলেন, ‘ছোটখাট সমস্যা হয়েছিল। আমরা প্রস্তত ছিলাম। তবে এখন পরিবেশ শান্ত আছে।’
সারাবাংলা/আইসি/এমও