রফতানিতে ১১% প্রবৃদ্ধি নিয়ে বছর শুরু
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২২:৪১ | আপডেট: ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০১:৪৩
ঢাকা: বছরের শুরুতে দেশের রফতানি আয়ে বেশ ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারিতে রফতানি হয়েছিল প্রায় ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ ডলারের পণ্য। এর বিপরীতে এ বছরের জানুয়ারি মাসে ৫৭২ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের বিভিন্ন পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ।
রোববার (৪ জানুয়ারি) রফতানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) প্রকাশিত সর্বশেষ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কিছুটা কম হলেও শুরুর মাসেই প্রায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রফতানি আয়ের লক্ষ্য ছিল ৫৭৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার। মাসটিতে রফতানি হয়েছে ৫৭২ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের পণ্য। লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি কম হয়েছে শূন্য দশমিক ৬৯ শতাংশ।
অন্যদিকে গত বছরের জানুয়ারিতে রফতানি হয়েছিলো ৫১৩ কোটি ৬২ লাখ ডলারের বিভিন্ন পণ্য। ফলে চলতি বছরের জানুয়ারিতে রফতানি আয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১১ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
এদিকে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই থেকে জানুয়ারি) বাংলাদেশ থেকে তিন হাজার ৩২৬ কোটি ৪৭ লাখ ডলারের বিভিন্ন পণ্য রফতানি হয়েছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে রফতানি ছিল তিন হাজার ২৪৪ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। সে হিসাবে চলতি অর্থবছরের সাত মাসে সামগ্রিক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২ দশমিক ৫২ শতাংশ। তবে একই সময়ে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রফতানি কম হয়েছে ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ।
ইপিবির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) পোশাক রফতানি হয়েছে দুই হাজার ৮৩৬ কোটি ডলারের, লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় যা ৬ দশমিক ২৩ শতাংশ কম। তবে গত অর্থবছরের একই সময়ে পোশাক খাতে রফতানির পরিমাণ ছিল দুই হাজার ৭৪২ কোটি ডলার। সে হিসাবে দেশের রফতানি আয়ের বড় এই খাতে এই সাত মাসে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩ দশমিক ৪৫ শতাংশ।
পোশাকের মধ্যে নিটওয়্যারে প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ। তবে ওভেনে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। গত অর্থবছরের চেয়ে এই অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে ওভেনের রফতানি কমেছে ২ দশমিক ২০ শতাংশ।
এদিকে অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে কৃষি খাতে ৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ১৫ দশমিক ৪৮ শতাংশ, কেমিকেল পণ্যে ১১ দশমিক ৬০ শতাংশ, ম্যান মেড ফাইবারে ২৭ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও স্পেশালাইজড টেক্সটাইলে ২৪ দশমিক ২৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। একই সময়ে পাটজাত পণ্যে ৬ দশমিক ৮৫ শতাংশ, হিমায়িত মাছে ১ দশমিক ৯৮ ও চামড়াজাত পণ্যে ১৪ দশমিক ৩৩ শতাংশ নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর