মোনাজাত শেষে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফেরেন মুসল্লিরা
৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৪:১৭ | আপডেট: ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩০
গাজীপুর: জেলার টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হয়েছে বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। তবে আখেরি মোনাজাত শেষে বাড়ি পরিবহন সংকটে পড়েন মুসল্লিরা। ট্রেন ও বাসে উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। এ সময় অনেকে ঝুঁকি নিয়ে ট্রেনে করে বাসার উদ্দেশে রওনা দেন। অনেকে ট্রেনে উঠতে না পেয়ে হেঁটে রওয়া দেন।
রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) ভারতের মাওলানা ইব্রাহিম দেওলার হেদায়েতি বয়ান শেষে সকাল ৯টায় শুরু হওয়া ২৩ মিনিট ধরে চলে মোনাজাত। মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা যোবায়ের।
আখেরি মোনাজাতের পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক, টঙ্গী-কালীগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক, টঙ্গী-বনমালা আঞ্চলিক সড়ক, টঙ্গী-আব্দুল্লাহপুর সড়কে মুসল্লিদের ঢল নামে। ট্রেন, বাস প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলে করে নিজ নিজ গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দেন মুসল্লিরা।
সরেজমিনে আরও দেখা গেছে, মোনাজাত শেষ হওয়ার পরপরই টঙ্গী রেলওয়ে স্টেশনে উপচে পড়া ভিড় মুসল্লিদের। মুসল্লিরা যেন নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতে পারে সেজন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা রাখা হলেও। তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। ফলে ভিতরে উঠতে না পেরে অনেকে ট্রেনের দরজায় ঝুলে ও ছাদে উঠে জীবন ঝুঁকি নিয়ে বাড়ির পথে রওনা দেন। আবার ট্রেন ও বাসে উঠতে না পেরে অনেককে হেঁটে রওনা দেন।
আখেরি মোনাজাতে দেশের কল্যাণ, মুসলিম উম্মার সুদৃঢ় ঐক্য, আখেরাত ও দুনিয়ার শান্তি কামনা করা হয়। এ সময় দুহাত তুলে মহান আল্লাহ’র দরবারে ফরিয়াদ জানায় লাখ লাখ মুসল্লি। এরপরই আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে আসা মুসল্লিরা ইজতেমা এলাকা ছাড়তে শুরু করেন। তবে খিত্তায় অবস্থান নেওয়া মুসল্লিরা পর্যায়ক্রমে ময়দান ছাড়বেন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ আগামীকাল পর্যন্ত ময়দানে অবস্থান করবেন।
মোনাজাতে অংশ নিতে অনেক মুসল্লি ইজতেমার মূল ময়দানে ঢুকতে না পেরে বিভিন্ন সড়ক, অলিগলি, ভবনের ছাদে পত্রিকা, পাটি, চট, জায়নামাজ ও পলিথিন বিছিয়ে বসে পড়েন। অনেকেই আবার মোবাইল ফোনে দূর-দূরান্ত থেকে মোনাজাতে শরিক হন।
‘আমিন, আল্লাহুম্মা আমিন’ ধ্বনিতে দেশের কল্যাণ ও দুনিয়া-আখিরাতের শান্তি কামনা, মুসলমানদের ঈমানি শক্তি বৃদ্ধি, মুসলমানদের মাঝে ঐক্য, বিশ্ব ইজতেমাকে কবুল এবং যুবসমাজকে হেদায়েত দানের কামনার মধ্যে দিয়ে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শেষ হলো আজ।
সারাবাংলা/টিকে/এনএস