বেআইনি বিয়ের দায়ে ইমরান খান ও বুশরা বিবির ৭ বছর কারাদণ্ড
৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৯:০৩ | আপডেট: ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ২০:৫৩
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে এবার ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন সেদেশের একটি আদালত। বুশরা বিবিকে ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার আগে বিয়ে করার কারণে আদালত তাকে এই সাজা দিয়েছেন। তার স্ত্রী বুশরা বিবিকেও একই মামলায় ৭ বছরের জেল দিয়েছেন আদালত। ইমরান খান ও বুশরা বিবি ২০১৮ সালে বিয়ে করেছিলেন।
বুশরার সাবেক স্বামী ফরিদ মানেকার আদিয়ালা জেলা কারাগারে অস্থায়ী আদালতে দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিচারক কুদরতুল্লাহ এই রায় ঘোষণা করেন। এই দম্পতির প্রত্যেককে ৫ লাখ পাকিস্তানি রুপি করে জরিমানাও করেছেন আদালত।
বিচারক তার লিখিত আদেশে বলেন, দুইজনকে পাকিস্তান পেনাল কোডের ধারা ৪৯৬ অনুযায়ী দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। পাকিস্তানের পেনাল কোডের এই ৪৯৬ ধারাটি আইন অনুসরণ ছাড়া বা প্রতারণামূলকভাবে বিয়ে করা সম্পর্কিত একটি ধারা।
২০১৮ সালের জানুয়ারিতে একটি ঘরোয়া আয়োজনে বুশরা বিবির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল ইমরান খানের। এর আগে প্রাক্তন স্বামীকে তালাক দিয়েছিলেন বুশরা বিবি। ইসলামী আইন অনুযায়ী তালাক হওয়া নারীকে পরবর্তী বিয়ের আগে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। এই সময়টিকে ইদ্দত বলা হয়।
ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার আগেই তাদের বিয়ে হয়েছিল কিনা তা নিয়ে বিতর্ক ছিল। তবে ইমরান খান ও বুশরা বিবি বরাবরই এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিরুদ্ধে বিয়ে সম্পর্কিত মামলার রায় এমন এক সময় হলো যখন একই সপ্তাহে তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় ১৪ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে দুজনের। চলতি সপ্তাহে রাষ্ট্রীয় গোপন তথ্য প্রকাশ্যে আনার দায়ে অপর একটি মামলায় ১০ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে ইমরান খানের। আব্দুল কাদির দুর্নীতি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে কয়েক মাস ধরে কারাগারে আছেন ইমরান খান।
আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের ভোটগ্রহণের দিন। ইমরান খান নিজে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারছেন না। তার দল পিটিআইও দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারছে না। ইমরান খানের দলের প্রার্থীরা স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সারাবাংলা/আইই