শুধু কাগুজে নয়, ডিজিটাল প্রকাশকও হওয়ার তাগিদ প্রধানমন্ত্রীর
১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১৮:২৯
ঢাকা: বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর প্রকাশকদের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, এখন শুধু কাগজের প্রকাশক হলে হবে না, ডিজিটাল প্রকাশকও হতে হবে।
বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে মাসব্যাপী অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে, ১৬ লেখকের হাতে বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। পুরস্কারপ্রাপ্তরা হলেন শামীম আজাদ (কবিতা), ঔপন্যাসিক নুরুদ্দিন জাহাঙ্গীর ও সালমা বাণী (যৌথভাবে কথাসাহিত্যে), জুলফিকার মতিন (প্রবন্ধ/গবেষণা), সালেহা চৌধুরী (অনুবাদ), নাট্যকার মৃত্তিকা চাকমা ও মাসুদ পথিক (যৌথভাবে নাটক), তপঙ্কর চক্রবর্তী (শিশু সাহিত্য), আফরোজা পারভিন এবং আসাদুজ্জামান আসাদ (মুক্তিযুদ্ধের ওপর গবেষণা), সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল এবং মো. মজিবুর রহমান (বঙ্গবন্ধুর ওপর গবেষণা), পক্ষীবিদ ইনাম আল হক (পরিবেশ/বিজ্ঞান ক্ষেত্র), ইসহাক খান (জীবনী) এবং তপন বাগচী ও সুমন কুমার দাস (যৌথভাবে লোক কাহিনি)।
শেখ হাসিনা তার ভাষণে বলেন, ‘লাইব্রেরিগুলোতে এখন অডিও রেকর্ড থাকে হবে। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে। পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে মধুর ভাষা হলো বাংলা ভাষা। কিভাবে আন্তর্জাতিক ভাবে কবি ও সাহিত্য মেলা করা যায়, সেটাও ভাবেতে হবে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বই মেলার জায়গাটা ছোট হয়ে গেছে, কীভাবে বড় জায়গায় নেওয়া যায় সেটিও ভাবতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘উপজেলা পর্যায়ে বইমেলা করা হবে। যেন আমাদের শিশুরা এই বই মেলা থেকে সম্পর্কে জানতে পারে এবং জ্ঞান আহরণ করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘বই মেলা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়া বাংলাদেশের জন্য বড় অর্জন। ভাষা সাহিত্যের এবং সাংস্কৃতির যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পারলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। বাংলা ভাষাকে বিশ্বের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। অনেক আন্দোলনের সূতিকাগার হলো বাংলা একাডেমি। ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই এসেছে স্বাধীনতা।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পড়ার অভ্যাস সবার থাকা উচিত। ছোটবেলা থেকে বাবা-মা যদি শিখায় সেটি ভালো হয়। অনেকে ঘুমের জন্য ওষুধ খায়, প্রয়োজন নেই। বই পড়লেই ঘুম চলে আসে। বেশি মজাদার বই পড়লে আবার ঘুম আসবে না। এ জন্য আবার বই বাছাই করতে হবে।’
বইমেলায় প্রাণ ফিরে পাওয়ার স্মৃতি তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এখানে এলে ভালো লাগে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আসার মজা নেই। ডানে ঘুরলে নিরাপত্তা, বামে ঘুরলে নিরাপত্তা। এ নিরাপত্তার বেড়াজালে স্বাধীনতাই হারিয়ে গেছে। এখানে স্কুল জীবন থেকে আসতাম। সে মজা এখন নিরাপত্তার কারণে তা পাই না।’
বক্তব্যের পর মেলায় বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সারাবাংলা/একে