‘বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়া বুড়িগঙ্গার পানির মতোই স্বচ্ছ’
৩১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৫৮
ঢাকা: ‘বাংলাদেশের বিচার প্রক্রিয়া বুড়িগঙ্গার পানির মতোই স্বচ্ছ’— এমনটিই মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতার জোরে আওয়ামী মন্ত্রীরা নিজেদের অখণ্ড কতৃর্ত্বের অধিকারী ভাবছেন। এরা গণতান্ত্রিক বিশ্বের নামকরা গণমাধ্যমকেও তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছেন অবলীলায়। ড. মুহম্মদ ইউনুসকে নিয়ে বিশ্বের অনেক নোবেল লরিয়েট ও বিশ্ব নেতাদের বিবৃতি প্রকাশ হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্টে। এই বিবৃতিকে বিজ্ঞাপন বলে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।’
তিন বলেন, ‘গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণে পারদর্শী আওয়ামী সরকারের মন্ত্রীরা রাষ্ট্রশক্তিকে কব্জায় নিয়ে ‘ধরাকে সরা জ্ঞান’ করছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ইউনুস প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশে নাকি বিচার প্রক্রিয়া স্বচ্ছ। স্বচ্ছ বটে তবে সেটি বর্তমানে বুড়িগঙ্গা নদীর পানির মতোই।’
রিজভী বলেন, ‘দ্বাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরুর কয়েক ঘণ্টা পরই জানা গেল আবাসিক পর্যায়ে গ্যাসের প্রি-পেইড মিটার ভাড়া ১০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২০০ টাকা করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। মিটার ভাড়া এক লাফে দ্বিগুণ বৃদ্ধি ৭ জানুয়ারির নীরবে সার্কাস দেখার শাস্তি হিসেবে জনগণের ওপর ধার্য করা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এমনিতেই আবাসিক পর্যায়ে গ্যাসের সরবরাহ মারাত্মক অবনতি হয়েছে। বাসা-বাড়িতে অধিকাংশ সময় গ্যাস থাকে না। গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত না করে সাধারণ মানুষকে দুর্ভোগের মধ্যে ফেলে মিটার ভাড়া দ্বিগুণ করা সরকারের গণশত্রু চরিত্রেরই বহিঃপ্রকাশ।’
রিজভী বলেন, ‘ক্ষমতা দখলে রাখার একমাত্র লক্ষ্য গোটা দেশটাকে লুণ্ঠনের অভয়ারণ্য বানানো। এর ফলে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি অরাজকতার কালো আঁধারে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। ভয়াবহ ডলার সংকটের কারণে রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে ধস নেমেছে।’
তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাক ও বস্ত্র খাতে নগদ সহায়তা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। চামড়া, পাটজাত পণ্য, এগ্রো প্রসেসিং পণ্যে নগদ সহায়তা অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে এ সমস্ত পণ্যের রফতানি চরমভাবে হ্রাস পাবে। ভোটারবিহীন সরকার কখনোই জনকল্যাণমুখী হতে পারে না।’
রিজভী বলেন, ‘বেপরোয়া দুর্নীতি আর মানবাধিকার লঙ্ঘনের সুযোগ দিয়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন বাহিনী ও সংস্থা গড়ে তুলেছে সরকার। এদেরকে দিয়েই প্রবল জনমতকে দমন করা হয়। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবির ওপর নামিয়ে আনা হয় এক ভয়াবহ রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস। দলীয় ক্যাডার, সন্ত্রাসী আর সিন্ডিকেটবাজদের ভরণ-পোষণ করতে গিয়ে রাষ্ট্রের কোষাগার শূন্য করা হয়েছে। তথাকথিত উন্নয়নের নামে যেভাবে হরিলুট হয়েছে সেটি পূরণ করতেই এরা রফতানি খাত থেকে তহবিল কমাচ্ছে।’
সারাবাংলা/এজেড/এনএস