টিআইবির প্রতিবেদন রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট: সেতুমন্ত্রী
৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:২৭ | আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৪৮
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাপী দুর্নীতির ধারণা সূচক নিয়ে টিআইবির প্রতিবেদন রাজনৈতিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট। কোনো জোট বা দেশের স্বার্থ সংরক্ষণে করা এসব অপবাদকে সরকার পরোয়া করে না।’
মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলটির সাধারণ সম্পাদক এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির কালো পতাকা কর্মসূচিকে গণবিরোধী আখ্যা দিয়ে ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘এটি দেশের গণতান্ত্রিক অভিযাত্রার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র। এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা না হলে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা পাহারায় যাবে আওয়ামী লীগ। সহিংসতা হলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের দায়িত্ব পালন করবে।’
বিএনপি নেতাকর্মীদের মুক্তির বিষয়ে জাতিসংঘ বিবৃতি নিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘যারা এই বিবৃতি দিয়েছেন, তারা ভুল রিপোর্ট, তথ্যের উপর এ ধরনের অভিযোগ দিয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর হিসাব মতে ১০ হাজারের বেশি বন্দি জেলে নেই। কোনো হিসাবে ২৫ হাজার বন্দি আছে। অপরাধ করলে বিচার করতে হবে। জামিনযোগ্য অপরাধ হলে জামিন পাচ্ছেন। আইন তার নিজস্ব গঠিত চলবে। জাতিসংঘ এবং কংগ্রেসম্যানরা বিবৃতি দিয়েছেন তা ভালোভাবে খতিয়ে দেখতে অনুরোধ করছি।’
এ সময় আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিয়ে সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি। সরকারি দল বলে কি নিয়ম মানব না?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ত্রুটিমুক্ত গণতন্ত্র পৃথিবীর কোথাও এখনো নেই। যারা নির্বাচন পরবর্তী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন, নতুন সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, তারা কেউ ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের কথা বলেননি। খোদ যুক্তরাষ্ট্রও বলেনি। অবাধ ও সুষ্ঠ নির্বাচন নিয়ে একটা প্রতিক্রিয়া ছিল ওয়াশিংটনের। কিন্তু ঢাকায় মার্কিন রাষ্ট্রদূত প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় বাংলাদেশের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করার কথা বলেছেন। ইউরোপের বিভিন্ন দেশও একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন। জাতিসংঘ মহাসচিবও প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে বিশ্ব পরিস্থিতিতে পৃথিবীর অর্থনীতির উপর চরম আঘাত এসেছে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতেও বিশ্ব সংকটের প্রতিক্রিয়ায় সমস্যা অতিক্রম করছি। দ্রব্যমূল্য এবং বাজার নিয়ন্ত্রণ কঠিন চ্যালেঞ্জ। এ চ্যালেঞ্জ অতিক্রমে নতুন সংসদ কঠিন দায়িত্ব পালন করবে। জনগণের সমস্যার সমাধানকে অগ্রাধিকার দেবে।’
এ সময় মন্ত্রিসভার সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন শেষ হলে সেখান থেকেও কিছু যুক্ত হতে পারেন। আবার প্রধানমন্ত্রী ইচ্ছা করলে বৃদ্ধি করতে পারেন।’
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, উপপ্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ আব্দুল আউয়াল শামীম, উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/এনএস