আইসিইউতে স্থানান্তরকালে আয়ানের মস্তিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে
২৯ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:০১
ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডার সাঁতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খৎনা করার পর চিকিৎসাধীন অবস্থা মারা যাওয়ার শিশু আয়ান আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় ১৫ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন হাইকোর্টে দাখিল করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের পক্ষে উপ-পরিচালক (আইন) ডা. পরিমল কুমার পাল এ প্রতিবেদন দাখিল করেন। তবে শিশু আয়ানের বিষয়ে প্রতিবেদন হলফনামা আকারে দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
রোববার (২৮ জানুারি) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হওয়ারর পর আইসিইউতে স্থানান্তরকালে যে সময় নষ্ট হয়েছে তখন আয়ানের মস্তিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
এতে বলা হয়েছে, সুন্নতে খৎনা শেষে শিশু আয়ানের জ্ঞান ফেরার মুহূর্তে তার অবস্থার অবনতি ঘটে। এ সময় তাকে যে ইনজেকশন প্রয়োগ করা হয়েছে তার প্রভাবে তার হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হতে পারে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হবার পর আইসিইউতে স্থানান্তর করতে যে সময় নষ্ট হয় তখন আয়ানের মস্তিস্ক ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলেও প্রতিবেদন বলা হয়েছে। তখন সিটিস্ক্যান করানো হলে মস্তিষ্ক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার বিষয়টি ধরা পড়ত। এ ছাড়াও সিপিআর (CPR: Cardio Pulmonary Resuscitation-কৃত্রিম শ্বাস দেওয়ার প্রক্রিয়া) কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন) দেওয়ার ফলে তার বুকের পাঁজর ভেঙ্গে গিয়ে থাকতে পারে।
এর আগে, এ বিষয়ে অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন দিতে ১৫ জানুয়ারি নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে রুলে আয়ানের পরিবারকে কেন পাঁচ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না তা জানতে চাওয়া হয়।
আদেশ অনুসারে অধিদফতরে উপ-পরিচালক ডা. পরিমল কুমার পালের সই করা ১৫ পৃষ্ঠার প্রতিবেদন উপস্থাপনের পর আদালত হলফনামা আকারে দাখিল করতে বলেন। আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ মাসুম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায়। সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সেলিম আযাদ ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া (আরজু)।
প্রতিবেদনের বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তুষার কান্তি রায় জানান, হলফনামা করে আগামীকাল (২৯ জানুয়ারি) প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। এর আগে, শিশু আয়ানের মৃত্যুর পর পত্রিকায় আসা খবরের ভিত্তিতে অভিযোগ তদন্তে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি কমিটি গঠন করে।
কমিটির সভাপতি হলেন- মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পেডিয়াট্রিক সার্জারি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাদরুল আলম। সদস্যরা হলেন- মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. সত্যজিত কুমার সাহা, অ্যানেসথেসিওলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আনিছুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ও কমিটির সদস্য সচিব ডা. মো. আলী হাসান ।
সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম