কুড়িগ্রামে শীতের দাপটে বিপাকে শ্রমজীবী ও চরাঞ্চলের মানুষ
২৩ জানুয়ারি ২০২৪ ১৯:০৩
কুড়িগ্রাম: মাঘের শীতে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে উত্তরের জনপদ কুড়িগ্রাম। জেলার উপর দিয়ে বইছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। ঘন কুয়াশা ও শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। বেশি বিপাকে পড়েছেন জেলার শ্রমজীবী ও চরাঞ্চলের মানুষ।
মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা গতকাল সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জীবিকার তাগিদে কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছেন শ্রমজীবী মানুষ। তাপমাত্রা নিম্নগামী হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমরসহ ১৬টি নদ-নদীর অববাহিকার চরাঞ্চলের মানুষজন।
ঘন-কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া বাড়িয়ে দিচ্ছে শীতের তীব্রতা। তীব্র ঠান্ডায় মানুষজন খড়কুটো জ্বালিয়ে উষ্ণতা নিচ্ছেন। জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্ট, সর্দিকাশিসহ শীত জনিত রোগীর সংখ্যা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডে ১২টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় ৬০ জন রোগী। শিশু ওয়ার্ডে ৪৪টি বেডের বিপরীতে চিকিৎসা নিচ্ছে প্রায় ৯০ জন রোগী।
এদিকে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকায় গত বৃহস্পতিবার থেকে বন্ধ রয়েছে জেলার মাধ্যমিক, নিম্ন মাধ্যমিক ও প্রাথমিক পর্যায়ের ১ হাজার ৮১৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
সদরের বেলগাছা ইউনিয়নের ভ্যান চালক আমিনুল বলেন, ‘কিছুদিন থেকে ঠান্ডা খুব পড়ছে। আজও খুব ঠান্ডা, রাস্তায় লোকজনও কম। জরুরি কাজ ছাড়া মানুষ জন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। কেনা কাটাও তেমন করছেন না। সে কারণে আমাদের কাজকামও নেই। ঠান্ডার কারণে আয় অনেক কমে গেছে। যতই ঠান্ডা হোক না কেন আমার গাড়ি নিয়ে বাহির হতেই হয়।’
কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, জানুয়ারি জুড়েই তাপমাত্রা এরকম থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এ মাসের ২৫ তারিখের পর তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেতে পারে।
সারাবাংলা/জেডআই/এনএস