ঘন কুয়াশায় ব্যাহত উদ্ধার কাজ, পানির নিচে বাড়ছে ফেরির ওজন
২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:৩৩ | আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:০২
মানিকগঞ্জ: পদ্মার তলদেশ থেকে রজনীগন্ধা ফেরি উদ্ধারে তৎপরতা শুরু করেছে উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়। গতকাল শনিবার সকাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্ধার তৎপরতায় যোগ দেয় ২৫০ টনের ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন এই জাহাজটি। তবে রোববার (২১ জানুয়ারি) ঘন কুয়াশা এবং বৈরি আবহাওয়ার কারণে সকাল সোয়া এগারোটা পর্যন্ত উদ্ধার তৎপরতা শুরু হয়নি।
ফেরিডুবির পর ৫ দিন পার হতে চললেও উদ্ধার তৎপরতায় গতি বাড়েনি। যার কারণে পদ্মার তলদেশে নিমজ্জিত ফেরির ভেতর পলিমাটি জমে ওজন ক্রমান্বয়ে ভারি হয়ে যাচ্ছে। প্রযুক্তিগত দুর্বলতার কারণে উদ্ধার তৎপরতায় রয়েছে ধীর গতি।
এদিকে, পানির নিচে নিমজ্জিত ফেরির ওজন বেড়ে যাওয়ায় লিফটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে ফেরিটি তুলে আনার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।
বিআইডব্লিউটিএ’র অতিরিক্ত পরিচালক আব্দুর রহিম বলেন, ‘উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়ের উদ্ধার সক্ষমতা আড়াইশো টন। ডুবে যাওয়া ফেরিটির ২৪০ টন হলেও পানির নিচে থাকায় পলি জমে ওজন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩০০ টনে। যার কারণে ফেরি উত্তোলনের জন্য কিছু টেকনিক্যাল সিস্টেম ব্যবহার করা হচ্ছে। প্রথমত লিফটিং পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে। লিফটিং পদ্ধতি করতে হলে সলিং তার অর্থাৎ জাহাজের নিচ দিয়ে স্টিলের তার প্রবেশ করে সেফটি আকারে ফিটিং করার পর লিফট দেব। বেলুন পদ্ধতি ও ব্যবহার করা হতে পারে। তাছাড়া বৈরি আবহাওয়া, কুয়াশা এবং পানির নিচে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
নৌবাহিনীর লেফটেন্যান্ট শাহ পরান ইমন বলেন, ‘ফেরিটি ডুবে যাওয়ার পর থেকেই নৌবাহিনীর এক্সপার্ট ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতায় বিরামহীন ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ফেরিটি উদ্ধারে মূলত উদ্ধারকারী জাহাজ প্রত্যয়কে মূলশক্তি হিসেবে ব্যবহার করে তাকে সাপোর্টের জন্য লিফটিং ব্যাগ এবং রুস্তম এবং হামজাকে ব্যবহার করা হচ্ছে।’
ফেরিটিকে ক্যাপস সাইজ অর্থাৎ উল্টো থেকে সোজা করে পাড়ে নিয়ে আসার চেষ্টা করব। এদিকে ঘন কুয়াশা এবং বৈরি আবহাওয়ার কারণে পঞ্চম দিনের উদ্ধার তৎপরতা দেখা যায়নি।
এর আগে, উদ্ধারকারী জাহাজ রুস্তম ও হামজার মাধ্যমে তিনটি ট্রাক উদ্ধার করেছে। এখনো ফেরির ভেতর আরও ৬টি ট্রাক রয়েছে। দুর্ঘটনায় নিখোঁজ ফেরির দ্বিতীয় ইঞ্জিন মাস্টার হুমায়ূন কবীরের সন্ধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি। দুর্ঘটনার পর ফেরিতে থাকা ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করেছে। উদ্ধার কাজে রয়েছে নৌ বাহিনী, ফায়ারসার্ভিস ও বিআইডব্লিউটিএ’র ডুবুরি দল।
গত মঙ্গলবার সকাল ৮টার দিকে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে আসা ৯টি ট্রাক নিয়ে রজনীগন্ধার নামের ইউটিলিটি ফেরি পাটুরিয়া ঘাটের কাছে ডুবে যায়।
সারাবাংলা/এমও