ঠাকুরগাঁওয়ের তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রিতে, দুর্ভোগে নিম্ন আয়ের মানুষ
১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৩:৪৫ | আপডেট: ১৫ জানুয়ারি ২০২৪ ১৫:২৪
ঠাকুরগাঁও: হিমেল হাওয়া আর কনকনে শীতে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁও। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘন কুয়াশায় দিনের বেলা হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। সূর্যের দেখা মেলছে না। বইছে শৈত্যপ্রবাহ, তাপমাত্রা ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে এসেছে। হাসপাতালে বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ শীতবস্ত্রের অভাবে খড়খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণ করছে।
জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য মতে ঠাকুরগাঁওয়ে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে এ তাপমাত্রা দিন দিন কমছে। রোববার ছিল ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, তার আগের দিন ছিল ১১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ দিনে রোগী ভর্তি হয়েছে ২ হাজার ১৭ জন, সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ২ হাজার ১৫ জন। এর মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪৫ জন। তবে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বেশি। এ সব শিশুরা জ্বর, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, ব্রনকাইটিস রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে।
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালন্দর পাঁচপীর ডাঙ্গা গ্রামের একাধিক আদিবাসি জনগোষ্ঠীর মানুষ জানান, এই সময় টাকা-পাইসা নাই, কাজ-কাম নাই, গরিব মানুষ শীতবস্ত্রেও অভাবে আগুন পোহাচ্ছি, প্রত্যেক বছর কম্বল দিতো এ বছর এখনও আমরা কম্বল পাইনি।
শহরের কলেজপাড়া মহল্লার মায়া বলেন, ‘কাজ-কর্ম নাই শীতের দিন চলতে পারি না.’
রহিমা বেগম বলেন, ‘মানুষ কত কি পাছে, হামাক এতনা জিসিসও দেয়নি। গরিব মানুষ আমরা সরকারি জিনিস কিছুই পাই না।’
টিউবওয়েল মিস্ত্রি রশিদুল ইসলাম বলেন, ‘ঠান্ডায় কাজ-কাম নাই, পয়সা-করি নাই, কি করিমো, খাওয়া-দাওয়ার কষ্ট খুব, কেউ ১০ টাকা দিয়ে চালায় না। আজকেও ঘুরে আসছি, কালকেও ঘুরে আসছি, পরশুদিন ঘুরে আসছি।’
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার গড়েয়া গোপালপুর গ্রামের আলম হোসেন বলেন, ‘কাজ-কর্ম নাই জিনিসপত্রের দাম বেশি, আমাদের মতো গরিব মানুষের মরণ ছাড়া কিছু নাই।’
ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক মাহাবুবুর রহমান বলেন, ‘শীতবস্ত্র বিতরণের বিষয়টি চলমান প্রক্রিয়া প্রথমে ২৩ হাজার পেয়েছি, পরে সাড়ে ৯ হাজার আরও চাহিদা পাঠিয়েছি।’
সারাবাংলা/ইআ
টপ নিউজ ঠাকুরগাঁও দুর্ভোগ নিম্ন আয়ের মানুষ সর্বনিম্ন তাপমাত্রা