ইজতেমায় অস্থায়ী দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের হাতাহাতি
১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৪:৪১ | আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২৪ ১৬:১০
গাজীপুর: গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে অস্থায়ী দোকান বসানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। স্থায়ী দোকানদাররা বলছেন, অস্থায়ী দোকান বসলে তাদের ব্যবসায় ক্ষতি হয় বলে তারা দোকান বসতে দেবেন না। অন্যদিকে অস্থায়ী দোকান বসাতে যাওয়া পক্ষ বলছে, তারা মালিকপক্ষকে টাকা দিয়ে অনুমতি নিয়েই দোকান বসানোর কাজ করতে গিয়েছিল।
রোববার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে গাজীপুর মহানগরীর টঙ্গী পশ্চিম থানার টঙ্গী বাজার এলাকায় আশরাফ সেতু শপিং কমপ্লেক্সে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
আশরাফ সেতু শপিং কমপ্লেক্স ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম শিশির বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমরা ব্যবসা করে আসছি। ইজতেমা উপলক্ষে অস্থায়ী দোকান বসলে আমাদের জন্য সমস্যা হয়।
আশরাফ সেতু শপিং কমপ্লেক্স ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী সমবায় সমিতির কার্যকরী সদস্য মশিউর রহমান বলেন, আমরা যারা স্থায়ী দোকান নিয়ে ব্যবসা করছি আমাদের ব্যবসায়িক ক্ষতি হবে। মালিক সমিতি কিছু টাকার বিনিময়ে আমাদের ক্ষতি করে মার্কেটের সামনে অস্থায়ী দোকান বসানোর চেষ্টা করছে। আমরা মালিকপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করার পর তারা জানায় কোনো অস্থায়ী দোকান বসতে দেবে না। তবুও বাইরের কিছু লোকজন এসে আমাদের মার্কেটের সামনে দোকান বসাতে চাচ্ছে। আমরা চাই এ সমস্যার দ্রুত সমাধান করা হোক। তা না হলে আমরা কঠিন আন্দোলনের ঘোষণা দেবো।
মার্কেটের সামনে অস্থায়ী দোকান বসানোর জন্য মালিকপক্ষের কাছ থেকে জায়গা ভাড়া নেওয়া জিহাদুল রহমান সাব্বির বলেন, আমি মালিকপক্ষের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছি। সেই ভাড়া নেওয়া জায়গায় দোকান বসাতে চাচ্ছি। কিন্তু দোকান ব্যবসায়ী সমিতি দিতে রাজি নয়। আমি এর সমাধান চাই। যদি দোকান বসাতে না পারি তাহলে আমার কাছ থেকে অস্থায়ী দোকান ভাড়া বাবদ নেওয়া আড়াই লাখ টাকা বুঝিয়ে দেওয়া হোক।
দুপক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়। তবে টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি মিটিংয়ে আছি। পরে বিস্তারিত জানাতে পারব।’
ঘটনাস্থলে উপস্থিত টঙ্গী পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘৯৯৯ থেকে ফোন পাই। তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। স্থানীয় কাউন্সিলরের মাধ্যমে দুপক্ষের মধ্যে সমোঝোতা করানোর চেষ্টা চলছে।’
সারাবাংলা/টিআর