৭ জানুয়ারির পর এলাকায় কোনো গ্যাং থাকবে না: নানক
২ জানুয়ারি ২০২৪ ২২:২১ | আপডেট: ৩ জানুয়ারি ২০২৪ ০২:০৬
ঢাকা: কিশোর গ্যাং নির্মূলে কঠোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৩ আসনের নৌকার প্রার্থী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, কোনো কিশোর গ্যাং, বড় গ্যাং, মাঝারি গ্যাং- কোনো গ্যাং এই এলাকায় থাকবে না। পরিষ্কার ডেডলাইন বলে দিচ্ছি, আগামী ৭ জানুয়ারির পর যদি কাউকে পাওয়া যায় তাহলে এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে সোপর্দ করা হবে।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে মোহাম্মদপুর চাঁদ উদ্যান বাড়ি মালিক কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এমন হুঁশিয়ারি দেন ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক এমপি নানক।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন গণতন্ত্র রক্ষার নির্বাচন। দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার নির্বাচন। বাংলাদেশের সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার নির্বাচন। আগামী নির্বাচন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনিমার্ণের নির্বাচন।’
ভোটারদের নির্বাচনে দলবেধে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভোট প্রদানের আহ্বানও জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা ৭ জানুয়ারি ভোট প্রদানের মাধ্যমে পরিষ্কার জানিয়ে দেবেন, আমরাই আমাদের সরকার গঠন করার মালিক। এই দেশের জনগণেই যথেষ্ট এদেশের জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার জন্য।’
আমরা কোনো শক্তির কাছে মাথা নত করব না। আমরা কোনো বহিঃশক্তির কাছে মাথা নত করব না। কোনো বহিঃশক্তির রক্তচক্ষু আমরা মেনে নেব না বলেও অবহিত করেন তিনি। নানক বলেন, ‘আমরা বিজয়ী জাতি। কারও দয়া-দাক্ষিণ্যে স্বাধীনতা অর্জন করিনি। আমরা বাঙালি জাতি রক্ত দিয়ে এই স্বাধীনতা অর্জন করেছি। দুই লাখ মা-বোন তাদের পবিত্র সতীত্ব বিকিয়ে দিয়ে এই দেশকে স্বাধীন করেছেন। কাজেই কারো হস্তক্ষেপ আমরা আমাদের দেশে করতে দেব না।’
ভোটারদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘আমি আপনাদের কাছে নতুন কোনো মানুষ নই। আমি ২০০৮ সাল থেকে দশ বছর এই এলাকার সংসদ সদস্য হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছি। আপনারা আমাকে বুকভরা প্রত্যাশা নিয়ে নির্বাচিত করেছিলেন। আমি চেষ্টা করেছি আমাদের সর্বস্ব দিয়ে আপনাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে।’
তিনি আরও বলেন, ‘যে মোহাম্মদপুর সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য ছিল, আমি সেই সন্ত্রাসীদের বিতাড়িত করেছিলাম। যে মোহাম্মদপুর চাঁদাবাজ আর মাদককারবারীদের স্বর্গরাজ্য ছিল আমি তাদের বিতাড়িত করেছিলাম। ৫ বছর আমি ছিলাম না। এখন দেখা দিয়েছে কী? কিশোর গ্যাং। আমি কোনো কিশোর গ্যাং বড় গ্যাং মাঝারি গ্যাং কোনো গ্যাং এই এলাকায় থাকতে দেব না।’
কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে যারা সংশ্লিষ্ট যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত তাদেরকে পরিষ্কার ডেডলাইন বলে দিচ্ছি, ‘আগামী ৭ জানুয়ারির পর যদি কাউকে পাওয়া যায় তাদের হাত পা ভেঙে দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হবে। আপনারা এলাকাবাসী আমার সঙ্গে থাকবেন। আপনারা রাতে বাসাবাড়িতে নিশ্চিন্তে ঘুমাবেন। আর আমি রাতে আপনাদের রাস্তাঘাট পাহারা দেব। কে কত বড় সন্ত্রাসী, কে কত চাঁদাবাজ, কারা কত কিশোর গ্যাং আপনাদের সঙ্গে নিয়ে মোকাবিলা করব।’
প্রায় ১০ হাজার ভোটার সংবলিত হাউজিং সোসাইটির সুধিসমাজের পক্ষ থেকে ওই এলাকায় কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ, পানির পাম্প নির্মাণ, খেলার মাঠ, চাঁদাবাজ সন্ত্রাস নির্মূলসহ কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাতের অবসান কামনা করা হয়।
মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন চাঁদ উদ্যান হাউজিং বাড়ি মালিক কল্যাণ সমিতির সভাপতি আলম হোসেন। আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি নিজামুল হক ভুঁইয়া, মোহাম্মদ থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক তোফায়েল সিদ্দিকী তুহিন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরশেন ৩৩ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসিফ আহমেদসহ বিভিন্ন হাউজিং সোসাইটির নেতারা।
সারাবাংলা/এনআর/একে