‘নির্বাচনে আ.লীগের সঙ্গে জাপার কোনো জোট হয়নি’
১ জানুয়ারি ২০২৪ ১৮:০২ | আপডেট: ২ জানুয়ারি ২০২৪ ০১:১৬
রংপুর: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির কোনো জোট হয়নি বলে দাবি করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তার দাবি, যারা এসব নিয়ে কথার ফুলঝুড়ি ছড়ান তারা অপপ্রচার করছেন।
সোমবার (১ জানুয়ারি) বিকেলে রংপুর নগরীর কোর্ট চত্বরে গণসংযোগকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ দাবি করেন।
জাপা চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রংপুর-৩ আসনের এই প্রার্থী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ এই নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে কোনো ছাড় দেয়নি। বরং যে ২৬টি আসনে নৌকা তুলে নিয়েছে, সেগুলোর দুয়েকটি বাদে সব আসনেই আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছে। দলের নেতাকর্মীরা তাদের পক্ষেই তারা কাজ করছে। তাহলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে আমাদের আসন ভাগাভাগি হলো কী করে?’
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা বলেছিলাম, নির্বাচনে যদি প্রশাসনের নিরপেক্ষ ভূমিকা, অস্ত্র, পেশিশক্তি এবং অর্থের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকে তাহলে আমরা নির্বাচন করব। সেখানে আওয়ামী লীগ তাদের নিজেদের ইচ্ছায় ২৬টি আসনে নৌকা প্রার্থী উঠিয়ে নিয়েছে। কিন্তু সেইসঙ্গে এসব আসনে তাদের শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী রেখেছে। আবার সেই প্রার্থীদের পক্ষে আওয়ামী লীগ সরাসরি কাজ করছে। তারা আমাদের প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে না।’
এ সময় জিএম কাদের বলেন, ‘নির্বাচনে জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত থাকবে কি না তা সময়ই বলে দেবে। অনেক সময় অনেক প্রার্থী নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত থাকেন না, কেউ আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়ে প্রকাশ করেন, আবার কেউ ঘোষণা করেন না। কেউ এমনিতেই বসে যান। পার্টির প্রার্থীদের মধ্যে আমার একটা নির্দেশনা আছে, যারা নির্বাচন করতে চান, করতে পারেন। নির্বাচন করতে না চাইলে সেটিও সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা রয়েছে।’
প্রার্থিতা প্রত্যাহারের কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রার্থিতা প্রত্যাহার হুমকির কারণেও হতে পারে, অর্থের অভাবেও হতে পারে। অনেক প্রার্থী অর্থশালী হয়ে থাকেন না, অর্থের কারণেও অনেকে নির্বাচন থেকে সরে যান। তবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে ফের সরে যাওয়াটা ওই আসনের ভোটাররা ভালোভাবে দেখেন না। নির্বাচন থেকে সরে গেলে প্রার্থীরা অন্য কারও প্ররোচণায় কিংবা সমর্থনে বা আঁতাত করে অথবা ভয়ে সরে গেছে- এমন একটা মেসেজ যায়। যা রাজনীতির জন্য সুখবর নয়।
গণসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন- জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসীর, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও রংপুর জেলা সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আলাউদ্দিন মিয়া প্রমুখ।
সারাবাংলা/পিটিএম