নাশকতার ৪ মামলায় বিএনপির ৪২ নেতাকর্মীর কারাদণ্ড
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:০০ | আপডেট: ১ জানুয়ারি ২০২৪ ০০:২৪
ঢাকা: রাজধানীর পৃথক তিন থানার নাশকতার চার মামলায় বিএনপির ৪২ নেতাকর্মীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৪৫ জন খালাস পেয়েছেন।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকার পৃথক তিন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ রায় দেন।
পাঁচ বছর আগে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর থানার মামলায় ১২ নেতাকর্মীকে পৃথক তিন ধারায় সাড়ে চার বছর করে কারাদণ্ড দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজেশ চৌধুরীর আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- জাবেদ, সায়েম, মো. নাঈম নাইম, গাফ্ফার, মো. দেলোয়ার হোসেন, মো. শামীম, মো. কবির হোসেন, মো. সোহেল আরমান। ২০১৮ সালে বেআইনি সমাবেশ, পুলিশের কাজে বাধা ও নাশকতার অভিযোগ কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলাটি দায়ের করে পুলিশ।
এছাড়া আট বছর আগে নাশকতার অভিযোগ খিলক্ষেত থানার এক মামলায় ১০ জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলামের আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ছয় জন খালাস পেয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মো. ফজলুল হক ফজলু, জহির উদ্দিন বাবু, সালাউদ্দিন দর্জি, মো. শিশির, দেলোয়ার হোসেন, তুহিন, মাহফুজুর রহমান সজিব, আনিস, হাবিব উল্লাহ হাবি ও আনোয়ার। ২০১৫ সালে জানুয়ারি মাসে নাশকতার অভিযোগে খিলক্ষেত থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
এদিকে, পাঁচ বছর আগে রাজধানীর কোতয়ালি থানার এক মামলায় পৃথক তিন ধারায় ১১ নেতাকর্মীকে সাড়ে চার বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আলী হায়দারের আদালত এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন- মো. সেন্টু, নব কুমার দত্ত, আবু তাহের, মাহির আহম্মেদ রানা, রজ্জব আলী পিন্টু, আসাদুজ্জামান রিপন, ইমরানুল হক ওয়াহিদ, মুফতিজুল কবির কিরন। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে নাশকতার অভিযোগ কোতয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
পাঁচ বছর আগে নাশকতার অভিযোগ কোতয়ালি থানার আরেক মামলায় বিএনপির ৪৬ নেতাকর্মীর মধ্যে নয় জনকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মইনুল ইসলামের আদালত এই রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় ৩৫ জন খালাস পেয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- সাইদ আহমেদ রানা, সাইদুর রহমান লিটন, সুজন, আলমগীর, রজ্জব আলী পিন্টু, মোল্লা জজ, মামুন, আশরাফুল আমিন ও আনোয়ারুল আজিম। নাশকতার অভিযোগ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কোতয়ালি থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়।
সারাবাংলা/পিটিএম