ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে গৃহকর্মীর আত্মহত্যা— ধারণা পুলিশের
৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৪৭ | আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৩৭
ঢাকা: রাজধানীর রামপুরার বনশ্রী এলাকায় আসমা বেগম (৪২) নামের ওই গৃহকর্মী ছয় তলা বাসার ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা পুলিশের।
রোববার (৩১ ডিসেম্বর) সকালের দিকে বনশ্রীর ডি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৩২ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, আসমা বেগমের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার কোকরাইল গ্রামে। তার বাবার নাম মনু মিয়া।
রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তওফিকা ইয়াসমিন জানান, দুই মাস আগে আসমা বেগম মিরপুরের মধ্য মনিপুরে কানিজ ফাতেমার বাসায় কাজে যোগ দেয়। রামপুরার বনশ্রীতে কানিজ ফাতেমার বাবা দেলোয়ার হোসেনের বাড়ি। দুই দিন আগে গৃহকর্মী আসমাকে নিয়ে তিনি বাবার বাড়িতে বেড়াতে আসেন।
তিনি আরও জানান, কানিজ ফাতেমার ভাষ্যমতে, ভোরে উঠে আসমা কাপড় ধোয়া শুরু করে। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় আসমাকে বকাবকি করেন কানিজ। এর কিছুক্ষণ পর পথচারীরা বাসায় খবর দেয় বাসার নিচে আসমা বেগম পড়ে আছে। পরে নিচে গিয়ে গৃহকর্মীকে মৃত অবস্থায় দেখে থানায় খবর দেয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে।
রামপুরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাশেদুর রহমান বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বনশ্রীর ওই ভবন থেকে পড়ে আসমা বেগম নামের এক গৃহকর্মী মারা যায়। এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে যায়। কিন্তু ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিকেলে পাঠানোর চেষ্টা করলে স্থানীয়রা সেখানে জড়ো হয়ে বাধা দেন।’
এসআই আরও বলেন, ‘এ সময় ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধারের চেষ্টার করলে স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশের উদ্দেশে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে থানার ওসি মশিউর রহমানসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হন। এরপর তারা ওই ভবনে পার্কিং করা তিনটি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।’
সারাবাংলা/এসএসআর/পিটিএম