কারও আয় দৃষ্টিকটু হলে এই মুহূর্তে সরকারের কিছু করার নেই: কাদের
২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:৪২ | আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৩৫
ঢাকা: কারো অস্বাভাবিক আয় দৃষ্টিকটু মনে হলেএই মুহূর্তে সরকারের কিছু করণীয় নেই। তবে নির্বাচনের পর এ বিষয়ে পদক্ষেপ দেখা যাবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমনটা জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের পক্ষে এক ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।
প্রসঙ্গত, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থীদের দেওয়া হলফনামা বিশ্লেষণ করে আন্তর্জাতিক দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা টিআইবি মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে বলছে, নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রার্থিদের ২৭ ভাগই কোটিপতি।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, মন্ত্রীদের মধ্যে গত পাঁচ বছরে সবচেয়ে বেশি আয় বেড়েছে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সীর। আর ১৫ বছরে সম্পদ বেড়েছে খাদ্যমন্ত্রীর। নাম গোপন রেখে এক মন্ত্রীর সম্পদের হিসাব তুলে ধরে টিআইবি বলেছে, দেশের বাইরে ওই মন্ত্রীর দুই হাজার ৩১২ কোটি টাকার সম্পদ থাকলেও তা প্রকাশ করা হয়নি হলফনামায়।
এ বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সামগ্রিকভাবে দেশের আয়ও বেড়েছে। গত ১৫ বছরে বাজেট বেড়েছে ১২ গুণ। মাথাপিছু আয় বেড়েছে পাঁচ গুন। বাংলাদেশ এখন ৩৩তম অর্থনীতির দেশ। মানুষের আয়ও তো বাড়ে। অস্বাভাবিকভাবে কারো আয় দৃষ্টিকটু মনে হলে সেটা তো এই মুহূর্তে সরকারের কিছু করণীয় নেই। এখন সরকার রুটিন ওয়ার্ক করছে। সময়মতো দেখবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপিই তো লুটপাটের দল। যারা নিজেরা লুটপাট করে। তারা অন্যদের লুটপাটকারী ভাবতে পারে। তারা এখন পথহারা পথিকের মত দিশেহারা।
ভোটার টার্ন আউট করার ক্ষেত্রে আওয়ামী লীগের কৌশল কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এখানে কোন জবরদস্তির কৌশল নেই। কৌশলটা মানুষকে কনভিন্স করা। মানুষকে বোঝানো যে আপনাদের ভোটকেন্দ্রে আসা এবং ভোটাধিকার প্রয়োগ করা প্রয়োজন।
বিএনপির জনসমর্থন ছিল না বলেই তারা আর তাদের আন্দোলনে টেনে নিতে পারেনি বলেও দাবি করেন তিনি। জনসমর্থনের অভাবে বিএনপি সন্ত্রাসের দিকে ঝুঁকে পড়েছে এবং চোরাগোপ্তা হামলা করেছে করছে বলেও দাবি করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
স্বতন্ত্র এবং নৌকার প্রার্থীদের মধ্যে সহিংসতা ও মারামারির ঘটনা ঘটছে, এতে ভোট বয়কটের কোনো সম্ভাবনা দেখছেন কিনা— এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, কেউ বয়কট করবে না। বয়কট করার তো কোনো কারণ নেই। ইলেকশনে বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত ঘটনা হবে। সব ইলেকশনেই ঘটে।
এ সময় দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনআর/আইই