‘ডাকাতি ঠেকাতে না পারলেও ডাকাতের সঙ্গে তাল মেলাবেন না’
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:১৫ | আপডেট: ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ২২:২৫
ঢাকা: দেশবাসীর উদ্দেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, কাকে ভোট দিতে যাবেন? হয় সরকারি দলের প্রার্থী, না হয় ডামি, না হয় তাদের অনুগত প্রার্থী। এ কারণে দেশবাসীকে বলব, আপনারা ভোট বর্জন করুন, ভোট কেন্দ্রে যাবেন না। এ অন্যায়ের শরীক হবেন না। ডাকাতি ঠেকাতে না পারলেও, ডাকাতের সঙ্গে তাল মেলাবেন না।
বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে থেকে তিনি এসব কথা বলেন। পরে প্রেসক্লাবের সামনে ‘ভোট বর্জন ও অসহযোগ আন্দোলনের’ পক্ষে লিফলেট বিতরণ করেন নজরুল ইসলাম খান।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘৭ জানুয়ারি যা ঘটতে যাচ্ছে, সেটা যদি নির্বাচন হতো, তবে সেখানে অংশ নেওয়া, না নেওয়ার প্রশ্ন আসতো। কিন্ত ৭ তারিখ যা ঘটতে যাচ্ছে সেখানে কোনো প্রতিপক্ষ নেই। সবাই আমি, ডামি ও আমার লোক। এদের মধ্যে যে নির্বাচনি খেলা, এটাকে নির্বাচন বলা যায় না। এ জন্য হাজার কোটি টাকা খরচ করা হবে, লাখ লাখ সরকারি কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিয়ে রাষ্ট্রের টাকা অপচয় করা হবে। বিরোধী নেতা-কর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হবে। এ কারণেই আমরা এই ভোট বর্জন করেছি।
তিনি বলেন, ‘বাকশালের আমলে এমন নির্বাচনি পরিবেশ ছিল। দেশে বর্তমানে যে অরাজকতা, এ অবস্থা আর যাই হোক, গনতান্ত্রিক পরিবেশ হতে পারে না। ২০১৮ সালে নির্বাচনে আমদের গণতান্ত্রিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। জনগণকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। এবারও জনগণকে বঞ্চিত করার পাঁয়তারা করছে।’
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যেখানে জনপ্রতিনিধি বাছাইয়ের সুযোগ নেই, এমন একটি নির্বাচনি খেলা জনগণ চায় না। চায় না বলেই জনগণ এ নির্বাচন বর্জন করেছে। অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ কর্মসূচির মধ্য দিয়ে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনার আন্দোলন আমরা রাজপথে আছি।’
ড্যাবের প্রেসিডেন্ট হারুন আল রশিদের সভাপতিত্বে, মহাসচিব ড. আব্দুস সালামের সঞ্চালমায় মানববন্ধনে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির সহ-স্বাস্থ্য সম্পাদক ডা. পারভেজ রেজা কাকন, ড্যাব নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ডা. মোস্তাক রহিম স্বপন, ডা. শহিদ হাসান, ডা. খালেকুজ্জামান দিপু, ডা. জাফর ইকবাল, ডা. মাহবুবুর রহমান, ডা. মাহমুদ মান্নান, ডা. মশিউর রহমান কাজল, ডা. জহিরুল ইসলাম সাকি, ডা. মঈনুল হক মিতুল, শফিকুল ইসলাম মাসুম, ডা. রুস্তম আলী মধু প্রমুখ।
সারাবাংলা/এজেড/এনইউ