নিখোঁজ ২ বিএনপি নেতার অবস্থান জানানোর নির্দেশ
২৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:১৬
ঢাকা: বগুড়ার কাহালু উপজেলায় নিখোঁজ হওয়া দুই বিএনপি নেতা কোথায় এবং কী অবস্থায় আছে— তা জানাতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ৪ জানুয়ারি পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) এ বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের কেন হাইকোর্টে সশরীরে হাজির করার নির্দেশ প্রদান করা হবে না, এই মর্মে রুল জারি করেছেন আদালত।
এক রিটের শুনানি নিয়ে বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আনোয়ার হোসেন হৃদয় কাহালু উপজেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক আর দেলোয়ার হোসেনের একই উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক।
আদালতে আসামির পক্ষে শুনানি করেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী। সঙ্গে ছিলেন বিএনপির আইন সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সুপ্রিম কোর্ট বারের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, আইনজীবী গাজী কামরুল ইসলাম সজল, আইনজীবী সৈয়দ মামুন মাহবুব, আইনজীবী মো. মাকসুদ উল্লাহ।
এর আগে, গতকাল এই দুই নেতার পক্ষে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। তারও আগে গত ২০ ডিসেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন হৃদয়কে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য দ্বারা তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেন হৃদয়ের স্ত্রী আঁখি বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে আঁখি বেগম বলেন, গত ১৪ ডিসেম্বর তার স্বামী তার কর্মস্থল বগুড়ার শেরপুর পল্লী উন্নয়ন একাডেমি থেকে ফেরার পথে অফিসের গেট থেকে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ডিবি (গোয়েন্দা পুলিশ) পরিচয়ধারী সাদা পোশাকে ৩-৪ জন তাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। যার সন্ধান আজও পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়নের ভোলতা দক্ষিণ পাড়ার মৃত আজিজার রহমানের পুত্র আনোয়ার হোসেন হৃদয় (সাবেক মেম্বার) পল্লী উন্নয়ন একাডেমিতে ফিল্ড অর্গানাইজার (এফও) পদে কর্মরত।
পাশাপাশি তিনি কাহালু উপজেলা বিএনপির সহ-দফতর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আঁখি অভিযোগ করেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. জিয়াউল হক মোল্লার হিংসা এবং ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশের শিকার তার স্বামী। তিনি এজাহারভুক্ত আসামি না হওয়া সত্ত্বেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আনোয়ার হোসেন হৃদয় (সাবেক মেম্বার) গত ২০১৬ সালে স্থানীয় ইউপি নির্বাচনে বীরকেদার ইউনিয়নের ইউপি সদস্য নির্বাচিত হন।
সংবাদ সম্মেলনকালে দুই সন্তানসহ আঁখি বেগম, নূরনবী, শহিদুল, সাইদুল, জিল্লুরসহ এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে একই দিন গত ১৪ ডিসেম্বর রাত ৯টার দিকে পাশের দুপচাঁচিয়া উপজেলা পরিষদের গেট থেকে কাহালু উপজেলার বীরকেদার ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেনকেও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাারী বাহিনীর পরিচয় তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকে তার সন্ধান পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন তার পরিবারের সদস্যরা।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস