Monday 06 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘বিএনপি ভোটে এলে অগ্নিসংযোগ, রেল লাইন কাটার ঘটনা ঘটতো না’

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৫৯

ঢাকা: নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর বলেন, বিএনপি ভোটে এলে নির্বাচনে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা হতো। তারা ভোট বর্জনে শান্তিপূর্ণ আহ্বান জানাচ্ছে। তবুও অগ্নিসংযোগ, রেল লাইন কেটে ফেলার মতো ঘটনা ঘটছে। তারা নির্বাচনে এলে এ সব হতো না।

রোববার (২৪ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব মন্তব্য করেন।

মো. আলমগীর বলেন, ‘সব দল এলে আরও ব্যালেন্সড নির্বাচন হতো। বিভিন্ন দলের অংশগ্রহণে নির্বাচনে ভারসাম্য থাকে। একটি দলীয় নির্বাচন হচ্ছে এটা বলা যাবে না। এটা ঠিক বিএনপির মতো বড় দল অংশ নিচ্ছে না। তারা এলে আরও অনেক ভালো, ব্যালেন্সড হতো। তারা শুধু আসেই নাই, তারা বাধাও দিয়ে যাচ্ছেন। তারা আবার শান্তিপূর্ণ আহ্বানও করছে নির্বাচন বর্জনের। এটি যে কেউ করতে পারে।’

তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে বাধা দেওয়ার জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সেদিকে ব্যস্ত আছে। বিএনপি এলে তো সেটি হতো না। বিভিন্ন জায়গায় বাসে আগুন দিচ্ছে, রেল লাইন কেটে দিচ্ছে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো ওইসব দিকে সময় দিচ্ছে। বিএনপি এলে এই সময়টাতো তাদের দিতে হতো না। তারা ভোটের ব্যবস্থাপনায় সময় দিতে পারত।’

সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, ‘তিনটা বড় দল ধরলে দু‘টো বড় দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। এখন সাবাই ভোট দিতে আসলে নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে।’

ফেয়ার নির্বাচন কাকে দেখাচ্ছেন বিদেশকে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরও বলেন, ‘কোনো আসনেই কিন্তু প্রার্থী কম নেই। প্রত্যেক প্রার্থীই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। কাজেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা নেই সেটি তো বলা যাবে না। সুষ্ঠু নির্বাচনের দায়িত্ব বোধ থেকেই আমরা করছি। কাউকে দেখানোর জন্য নয়। জনগণ যাকে ভোট দেবেন তিনিই সংসদে যাবেন।’

বিজ্ঞাপন

অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের অনেকগুলো পরিকল্পনা আছে। এই মুহূর্তে বলছি না। সব পরিকল্পনা তো আর ফাঁস করা যায় না। আগে বলার সুযোগ নাই। আমরা অবস্থা বুঝে ব্যবস্থা নেব।’

দুই শতের ওপরে শোকজ দিয়েছেন কোনো দৃশ্যমান ব্যবস্থা নেই, কেন এই নীরবতা? কোনো কোনো প্রার্থীকে একাধিকবার শোকজ দিয়েছেন ব্যবস্থা নেই, গতকাল একজন কমিশনার বললেন প্রার্থিতা বাতিলের মতো ব্যবস্থা আসতে পারে, নিচ্ছেন কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে মো. আলমগীর বলেছেন, ‘শোকজ রিটার্নিং অফিসার, সহকারি রিটার্নিং অফিসার, নির্বাচনি তদন্ত কমিটি তারা করেন। এটা নির্ভর করে তাদের ওখানে পরিস্থিতির ওপর। আমরা কিন্তু করি না। এটি মাঠে করা হয়। নির্বাচনি তদন্ত কমিটি আমাদের জানায়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানা করা হয়েছে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে মামলা দিয়ে জেলেও পাঠানো হয়েছে। আমাদের নিয়ম অনুযায়ী যেটি আছে সেইটা করছে। আমাদের ওখান থেকে একজন প্রার্থীকে (আমির হোসেন আমু) তলব করা হয়ছিল। তিনি হাজির হয়ে ব্যখ্যা দিয়েছে। তিনি যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা যে সমস্ত ভিডিও এসেছে তার সঙ্গে মিল নেই। তিনি ভবিষ্যতে এই বিষয়ে সকতর্ক থাকার কথা জানিয়েছেন।’

নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) বলেছেন, প্রার্থিতা বাতিল হবে-বিষয়টি সামনে আনলে মো. আলমগীর বলেন, ‘তিনিই বলতে পারবেন। কারণ আমরা তো রিপোর্ট এখনও পাইনি। রিপোর্ট আসার পর বলতে পারব। এরপর তাকেও (অভিযুক্তকে) শুনতে হবে। তার বক্তব্যও যাচাই বাছাই করা হবে। প্রকাশ্যে হামলা যেখানে হচ্ছে সেখানে তো মামলা হচ্ছে।’

সারাবাংলা/জিএস/একে

ইসি আলমগীর টপ নিউজ নির্বাচন কমিশন আইন

বিজ্ঞাপন

চলে গেলেন প্রবীর মিত্র
৫ জানুয়ারি ২০২৫ ২৩:৪২

আরো

সম্পর্কিত খবর