প্রার্থীরা আচরণবিধি মানছেন না: চট্টগ্রামের রিটার্নিং কর্মকর্তা
২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৫৭ | আপডেট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৭:৫৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামের প্রার্থীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আচরণবিধি মানছেন না বলে অভিযোগ করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান।
শনিবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে ৯টি আসনের প্রার্থীদের নিয়ে মতবিনিময় সভার পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, ‘৯টি আসনের প্রার্থীদের নিয়ে আমরা মতবিনিময় সভা করেছি। সেখানে আমরা তাদের নির্বাচনি বিধিমালা-২০০৮ সেটা পালন করতে নির্দেশ দিয়েছি। নির্বাচন সুষ্ঠু করতে আমরাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কি কি ব্যবস্থা নিয়েছি সেসব প্রার্থীদের জানিয়েছি। প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীদের অভিযোগ, মতামত ও পরামর্শ আমরা শুনেছি। প্রার্থীদের নানা প্রশ্ন ছিল তারা সেটা উপস্থাপন করেছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘দুই একটি জায়গায় বিচ্ছিন ঘটনা ঘটেছে। সেসব বিষয়ে প্রার্থীরা আমাদের অভিযোগ করেছেন। প্রত্যেকটি অভিযোগের সুনির্দিষ্টভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে আমরা তাদের জানিয়েছি। থানা মামলা নিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়ছে। আমরা নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।’
চট্টগ্রাম-১৫ (সাতকানিয়া) আসনে বারবার সহিংস ঘটনা ঘটছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মো. ফখরুজ্জামান বলেন, ‘নির্বাচনি প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীরা আচরণবিধি বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মেনে চলছেন না। উনারা যেসব সমাবেশ ও জনসভা করছেন এর পারমিশন নেওয়ার কথা রয়েছে। নির্বাচন আচরণবিধি অনুযায়ী সমাবেশ করার ২৪ ঘণ্টা আগে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে জানানোর কথা রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সামনে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে। সন্দ্বীপের ক্ষেত্রে নৌবাহিনী মোতায়েন হচ্ছে। আমরা অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের জন্য এবং বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার বন্ধ করতে সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করব। যে আশঙ্কার কথা বলা হচ্ছে সেগুলোকে কেন্দ্র করে আমাদের অভিযান পরিচালনা হবে।’
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ বলেন, ‘আমরা গত নির্বাচনের বেশকিছু জায়গায় এনাইলাইসিস করেছি, কোথায় কোথায় ঝামেলা ছিল। সেগুলো আমরা খুঁজে নিয়েছি। ওগুলাকে কেন্দ্র করে আমরা আইনশৃঙ্খলাবাহিনী মোতায়েন করব। সে সমস্ত জায়গায় অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে অভিযান পরিচালনা করেছি। ১৫টির মতো অস্ত্র আমরা উদ্ধার করেছি। অবৈধ অস্ত্র যারা ব্যবহার করে তাদের প্রত্যেকের বাড়িতে বাড়িতে আমরা তল্লাশি চালিয়েছি। এখানে কোনো সহিংসতা হওয়ার সম্ভাবনা নেই। সহিংস এলাকাগুলো আমরা চিহ্নিত করেছি।
সারাবাংলা/আইসি/এমও