নেতৃত্বের পরিপক্বতার অভাবে বিএনপি সুযোগ হারিয়েছে: ড. মোমেন
২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:৪০ | আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:২৫
সিলেট: বিএনপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিয়ে একটি সুযোগ হারিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। দলটির নেতৃত্বের পরিপক্বতার অভাব আছে বলেও মনে করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সিলেটে নির্বাচনি প্রচারকালে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন সিলেট-১ আসনে নৌকার প্রার্থী ড. মোমেন।
বিএনপির অসহযোগ আন্দোলনের ডাক কিভাবে দেখছেন— এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, না, এগুলো কোনো কাজে দেবে না। ওরা ভুল করেছে। এখন নিজেরা পস্তাচ্ছে। তাদের নির্বাচনে আসা উচিত ছিল, আসেনি। এখন তাদের নেতৃত্ব বজায় রাখার জন্য এগুলো। তারা একটা সুযোগ হারিয়েছে।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) নির্বাচনে আসলে তাদের নেতা-কর্মীরা কিছু চাঙ্গা হতো। রাজনীতি তো মানুষের জন্য। রাজনীতি মানুষ ধ্বংস করে হয় না। রাজনীতি দেশের জন্য। রাজনীতি মানে বাস-ট্রাক-রেলওয়ে জ্বালানো না। তাদের পথটা ঠিক না। তাদের নেতৃত্বের পরিপক্বতার অভাব— এজন্য তারা সুযোগ হারাচ্ছে।
নির্বাচনের দিন ভোটার উপস্থিতি বাড়ানোর ব্যাপারে তার দলের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা সে জন্য বিভিন্ন জায়গায় যাব। মানুষের ঘরে ঘরে যাব। দুঃখজনক ব্যাপার যে, শিক্ষিত লোকরা বা একটু পয়সাওয়ালা লোকরা ভোটকেন্দ্রে আসেন না। তাদেরও আমরা অনুরোধ করব যেন তারা ভোট কেন্দ্রে আসেন। আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ বেশি ভোট দেয়। তাদের কাছে আমরা যাব, যেন তারা ভোট কেন্দ্রে আসে। ভোটকেন্দ্রে এসে তাদের যাকে ইচ্ছা তাকে ভোট দেবে।
তিনি বলেন, আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং সংঘাতবিহীন নির্বাচন চাই। পৃথিবীকে আমরা আদর্শ দেখাতে চাই। আমরা সেই দেশ, যে দেশে ৩০ লাখ লোক প্রাণ দিয়েছে গণতন্ত্রের জন্য, ন্যায়বিচারের জন্য। আর কোথায়ও এত লোক প্রাণ দেয়নি।
নির্বাচনের আগে তিনি ভোটারদের কী প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন—জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা আমাদের উন্নয়নের অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে চাই। আর এই উন্নয়নের অগ্রযাত্রার ফলেই দেশের মান ইজ্জত অনেক বেড়েছে। দেশে আমরা কোনো সংঘাত চাই না। আমরা চাই শান্তি, স্থিতিশীলতা, এবং গণতান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থা। কারণ আমরা দেখেছি, গণতান্ত্রিক সরকার ব্যবস্থা থাকার ফলে দেশের এত উন্নয়ন হয়েছে। এটাকে আমরা ধরে রাখতে চাই।
বাংলাদেশের পোশাকশ্রমিকদের মজুরি বাড়াতে সরকারকে চাপ দিতে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বৈশ্বিক ক্রেতাদের সংগঠন আমেরিকান অ্যাপারেল অ্যান্ড ফুটওয়্যার-কে (এএএফএ) চিঠি দিয়েছেন দেশটির ৮ কংগ্রেসম্যান। এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমি কংগ্রেসম্যানদের ধন্যবাদ দেই। তারা একটা কাজ করতে পারে। আমাদের শ্রমিকের (ন্যুনতম) বেতন ৮ হাজার টাকা ছিল, প্রধানমন্ত্রী ৫৬ শতাংশ বাড়িয়ে সাড়ে ১২ হাজার করেছেন। ওরা (মার্কিন কংগ্রেসম্যান) প্রায় তিন গুণ বাড়াতে চাচ্ছে। ৮ হাজার থেকে ২৩ হাজার করতে চাচ্ছে। নিউইয়র্কে প্রতিঘণ্টায় শ্রমিকের মজুরি ১৫ ডলার। তারা যদি তাদের মজুরি ঘণ্টায় ৪৫ ডলার করে তাহলে তারা আমাদের লোকদের বেশি পয়সা দিতে পারবে। তারা যদি আমাদের লোকদের বেশি পয়সা দেয় আমরা খুব খুশি। এতে তাদের লোকদেরও তো ইনকাম দরকার। তাহলে ওদের তিনগুণ বাড়াক। ১৫ থেকে ৪৫ করুক। আমরাও তখন তাদের পথ অবলম্বন করব।
সারাবাংলা/আইই