নির্বাচনে গণমাধ্যমকে বাধা দেওয়া যাবে না: সিইসি
১৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৮:৩১
রংপুর: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গণমাধ্যমকে কোনোভাবেই বাধা দেওয়া যাবে না। কেননা স্বচ্ছতা, ট্রান্সপারেন্সি প্রতিষ্ঠিত হবে ভিজিবিলিটির মাধ্যমে। ভিজিবিলিটি এডড্রেস হবে মিডিয়া যে ছবি, ভিডিও, বক্তব্য নেবে সেগুলো দেশব্যাপী প্রচারের মাধ্যমে।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে রংপুর সার্কিট হাউস মিলনায়তনে জেলার ছয়টি আসনে নির্বাচনে অংশ নেওয়া ৩৬ প্রার্থীর সঙ্গে মতবিনিময় করেন তিনি। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।
সিইসি বলেন, কেন্দ্র থেকে বের হয়ে ভোটাররা যদি বলে নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পেরেছি এবং এটা যদি প্রচার করা যায় তবে ভোট ক্রেডিটেবল হবে। আর বেড়িয়ে এসে যদি তারা বলেন; না আমরা ভালোভাবে ভোট দিতে পারিনি, তাহলে ভোটটা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সাংবাদিকরা প্রভাব খাটাতেও পারেন, নাও খাটাতে পারেন। তবে যেটা সত্য সেটাই প্রকাশ করবেন। যদি ভেতরে সত্যিকারের অর্থে ভোটটা উত্তম হয়, সেটাই বলবেন। আর যদি অত্যন্ত মন্দ হয়, সেটাও প্রকাশ করবেন। কোনো রাখঢাক করবেন না।
তিনি বলেন, আমরা চাই সত্য, অবাধ তথ্য প্রবাহের মাধ্যমে জনগণ যদি বিশ্বাস করে ভোটটা সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য হয়েছে। তাহলে জনগণের আস্থা আসবে। আমরা সংকট থেকে উত্তরণ হতে পারব।
সিইসি বলেন, ভোট কেন্দ্রে কোনো ভোটার যেন বাধাগ্রস্ত না হয়, তারা যেন নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারেন। এটি নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে সবার উপস্থিতিতে ভোটটা হবে। নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উদ্দেশে এটি আমাদের সুস্পষ্ট বার্তা।
প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, প্রতিটি আসনে চার থেকে পাঁচজন করে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এটাই প্রতিদ্বন্দ্বিতা, এটাই প্রতিযোগিতা। এর বাইরে আমার কোনো দায়িত্ব নেই।
সিইসি বলেন, প্রশাসন নির্বাচনে নিরপেক্ষ থেকে নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করবে। রাজনৈতিক দলগুলোর যারা প্রার্থী বা স্বতন্ত্র প্রার্থী আছেন, তারা যদি আন্তরিক ও সচেতন না হন তাহলে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়াটা দুরূহ হয়ে পড়বে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রার্থীদের এই বার্তা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রার্থীরা আমাদের কথা দিয়েছেন তারা পারস্পরিক বিশ্বাস আস্থা রেখে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে সহযোগিতা করবেন। প্রার্থীরাও আশাবাদী এবারের নির্বাচনটা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।
এসময় নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা, নির্বাচন কমিশন সচিব জাহাঙ্গীর আলম, রংপুর বিভাগীয় কমিশনার হাবিবুর রহমান, পুলিশের রংপুর রেঞ্জ ডিআইজি আব্দুল বাতেন, রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মনিরুজ্জামান, জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোবাশ্বের হাসান, জেলা পুলিশ সুপার ফেরদৌস আলী চৌধুরীসহ আঞ্চলিক ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/এনইউ