২৬টি আসনে জাপার সঙ্গে আওয়ামী লীগের সমঝোতা
১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১০:৫৭ | আপডেট: ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:৫৪
ঢাকা: দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের কাছ থেকে ২৬টি আসনে সমঝোতার নিশ্চিত আশ্বাস পেয়েছে জাতীয় পার্টি (জাপা)। তবে জাতীয় পার্টি আরও অন্তত ১০টি আসনে সমঝোতা চায় সরকারি দলের কাছ থেকে।
গতকাল শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) আসন সমঝোতা নিয়ে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে বৈঠক হয়। তবে বৈঠক শেষে দল দুটির পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।
আওয়ামী লীগ সূত্র বলছে, জাপার সঙ্গে তাদের আসন ভাগাভাগির আলোচনা শেষ। তবে জাতীয় পার্টি আজ রোববার (১৭ ডিসেম্বর) প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত আলোচনা চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে দলটির একাধিক সূত্র।
সূত্র জানায়, আসন সমঝোতার দর-কষাকষির শুরুতে জাপা ১০০টি আসনের একটি তালিকা আওয়ামী লীগের কাছে দিয়েছিল। এ নিয়ে গত কয়েক দিনে দুই দল আলোচনা চালিয়ে যায়। পরবর্তীতে জাপা ১০০ থেকে নেমে ৫০টি আসনে আসে। তৃতীয় দফায় ৪০ আসনে দাবিতে শক্ত অবস্থান নেয় দলটি। গত শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত এ নিয়ে বৈঠক চলে আওয়ামী লীগের সঙ্গে। এসময় তারা ৪০টি আসন থেকে বৈঠকে ৩৫ আসনে নেমে আসে। ওই বৈঠকে শেষ পর্যন্ত জাপাকে ২৬টি আসন ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেয় আওয়ামী লীগ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে জাপার একজন নেতা জানান, গত বৃহস্পতিবার এবং গত শুক্রবার নেতারা নিশ্চিত হয় জাপাকে ২৬টি আসনে ছাড় দেবে আওয়ামী লীগ। এ সময় জাপা প্রতিনিধি আরও ৯টি আসন চায় আওয়ামী লীগের কাছে। ওই ৯টি আসন নিয়ে দেনদরবার চলে।
দলীয় সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় পার্টির প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে এবার বাদ পড়েছেন কাজী ফিরোজ রশিদ (ঢাকা-৬)। সালমা ইসলাম (ঢাকা-১৭) এবং জি এম কাদেরের স্ত্রী ও সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেরিফা কাদেরও (ঢাকা-১৮) সমঝোতায় ছাড় পাননি। এই তিন আসনের বাইরে রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া (ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪), জহিরুল আলম (মানিকগঞ্জ-১ অথবা মানিকগঞ্জ-৩), মোস্তফা আল মাহমুদ (জামালপুর-২), শফিকুল ইসলাম (ঢাকা-১৩ বা ঢাকা-১৪), জসিম উদ্দিন ভূঁইয়া (নেত্রকোনা-৩) ও জহিরুল ইসলামের (টাঙ্গাইল-৭) আসনের ব্যাপারেও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন জাপা নেতারা।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/এনএস