আপিল শেষে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা ২২৭০ জন
১৫ ডিসেম্বর ২০২৩ ২০:৩৩ | আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ ০০:৫৪
ঢাকা: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে রিটার্নিং কর্মকর্তার বাছাইয়ে বাতিল ২২ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা হয়েছে। এই ২২ জনসহ ছয় দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন মোট ২৮৫ জন। সব মিলিয়ে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) আপিল কার্যক্রম শেষে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই হাজার ২৭০ জনে। এর মধ্যে ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত কতজন থাকবেন, সেটি চূড়ান্ত হবে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের পর।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) ছিল রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিপরীতে আপিল প্রক্রিয়ার ষষ্ঠ ও শেষ দিন। এ দিনের কার্যক্রম শেষে ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ জানান, ৩০০ আসনে মনোনয়নপত্র দাখিল হয়েছিল দুই হাজার ৭১৬টি। এর মধ্যে বাছাইয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তারা ৭৩১টি মনোনয়নপত্র বাতিল করেছিলেন। তাদের বাছাইয়ে বৈধ প্রার্থী ছিল এক হাজার ৯৮৫ জন। আপিলে ২৮৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ায় মোট বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা হলো দুই হাজার ২৭০ জন।
এদিন নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব মো. জাহাংগীর আলম বলেন, ইসিতে মোট ৫৬০টি আপিল করেছিলেন প্রার্থীরা। এর মধ্যে মনোনয়নপত্র বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল হয়েছিল ৫২৫টি। বাকি ৩৫টি আপিল হয়েছিল রিটার্নিং কর্মকর্তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করার বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন- ৬ দিনে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ২৮৫ জন
ইসি সচিব তিনি বলেন, ছয় দিনে (১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর) আপিল শুনানিতে বাতিল আপিলের বিরুদ্ধে ২৮৫টি আপিল আবেদন কমিশন মঞ্জুর করেছেন। অর্থাৎ ২৮৫ জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আর ৩৫টি গ্রহণ আপিল আবেদনের মধ্যে পাঁচটি মঞ্জুর বা পাঁচজনের প্রার্থিতা বাতিল হয়েছে, দুটি আপিল আবেদন খারিজ করা হয়েছে, ২৮টি নামঞ্জুর করা হয়েছে। অর্থাৎ ইসিতে আপিল শুনানি শেষে মোট বৈধ প্রার্থী হলো দুই হাজার ২৭০ জন। তবে এটিই চূড়ান্ত সংখ্যা নয়।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এরই মধ্যে হাইকোর্টে দুটি বেঞ্চ গঠন করা হয়েছে। সেখানে ইসির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করা যাবে। এতে বৈধ প্রার্থীর সংখ্যা কমতে বা বাড়তে পারে।
ইসি সূত্র জানায়, আপিল শুনানির প্রথম দিনে ৫৬ জন প্রার্থিতা ফিরে পেলেও ৩২ জনের আবেদন নামঞ্জুর হয়। মোট নিষ্পত্তি হয় ৮৮টি আবেদন। দ্বিতীয় দিনে ৯২টি আপিল আবেদন নিষ্পত্তি করা হয়। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফিরে পান ৫১ জন, নামঞ্জুর হয় ৪১ জনের আবেদন। তৃতীয় দিনে নিষ্পত্তি হওয়া ৯৯টি আপিলের মধ্যে প্রার্থিতা ফিরে পান ৬৪ জন, বাতিল হয় ৩৫ জনের আবেদন।
এরপর চতুর্থ দিনে ১০১ জনের আপিল নিষ্পত্তি করা হয়। এর মধ্যে ৪৮ জনের আপিল মঞ্জুর হয়, বাতিল হয় ৫৩ জনের। অর্থাৎ প্রার্থিতা ফিরে পান ৪৮ জন। পঞ্চম দিনে ৯৬ জন প্রার্থীর আপিল শুনানি নিষ্পত্তি করা হয়। এর মধ্যে প্রার্থিতা ফিরে পান ৪৪ জন, প্রার্থিতা বাতিল বহাল থাকে ৫২ জনের। আর ষষ্ঠ ও শেষ দিনে ৮৪ জনের আপিল শুনানি শেষে ৬২ জনের আবেদনই নামঞ্জুর হয়, আবেদন মঞ্জুর হওয়ায় প্রার্থিতা ফিরে পান ২২ জন।
সব মিলিয়ে ছয় দিনে মোট আপিল শুনানি হয় ৫৬০ জন প্রার্থীর। এর মধ্যে আপিল শেষে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২৮৫ জন। বাকি ২৭৫ জনের আপিল মঞ্জুর হয়নি। অর্থাৎ তাদের প্রার্থিতা বাতিল বহালই রয়েছে।
১৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর ৩০ নভেম্বর ছিল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে আগ্রহীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ওই দিন পর্যন্ত দুই হাজার ৭১৬ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। এর মধ্যে বাছাইয়ে বাদ পড়েন ৭৬১ জন। তাদের আপিল এবং আপিল নিষ্পত্তির প্রক্রিয়া শেষ হলো আজ। এই সিদ্ধান্ত বদলাতে হলে প্রার্থীরা কেবল উচ্চ আদালতে যেতে পারবেন।
এখন আগামী রোববার (১৭ ডিসেম্বর) পর্যন্ত বাছাই ও আপিলের পর বৈধ প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করতে পারবেন। প্রত্যাহার শেষে চূড়ান্ত প্রার্তীদের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। একদিন পর ৭ জানুয়ারি ভোট নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/জিএস/একে
ইসি টপ নিউজ দ্বাদশ নির্বাচন নির্বাচন কমিশন বৈধ প্রার্থী সিইসি