Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘যারা মানুষ হত্যার পরিকল্পনা করে তারা কোন গণতন্ত্র দেবে?’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট
১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:১৮ | আপডেট: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:৪৭

ঢাকা: বিএনপির জ্বালাও-পোড়াও আন্দোলনের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তারা নাকি গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য আন্দোলন করবে? আরে তারা গণতন্ত্র বানান করতে পারে? আর গণতন্ত্র ওরা শিখেছে? ওর বাপ কি গণতন্ত্র দিয়েছিল? ওটা তো কারফিউ গণতন্ত্র। যারা মানুষ হত্যার পরিকল্পনা করে তারা কোন গণতন্ত্র দেবে? বাংলাদেশের মানুষ সেটা বুঝতে পারে বলেই তাদের আন্দোলনে সাড়া দেয় না।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি বিএনপি-জামায়াত আমলে তাকে হতাচেষ্টার নানামুখী ঘটনা তুলে ধরেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘তার (খালেদা জিয়া) পদাঙ্ক অনুসরণ করে যাচ্ছে এখন তার ছেলে (তারেক রহমান)। যেমন জিয়াউর রহমান তেমন খালেদা জিয়া। আর ছেলেও একটা অমানুষ। যে রাজনীতি আর করবে না বলে ২০০৭ সালে কেয়ারটেকারের আমলে মুচলেকা দিয়ে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যায়। এখন সে বিদেশে বসে হুকুম দিয়ে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে।’

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বনখড়িয়া এলাকায় রেললাইনে নাশকতার ঘটনায় ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে একজন নিহত হওয়ার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন। শেখ হাসিনা বলেন, ‘গ্যাস কাটার দিয়ে রেললাইন কেটে ফেলে প্রায় ২০ ফুট পর্যন্ত। তাও আবার রাত সাড়ে ৪টায়। একসিডেন্ট হয়, রেল পড়ে যায়। একজন মানুষও মারা যায়। কিন্তু এখানে তো আরও বেশি মানুষ মারা যেত পারত। এর আগে আরও কয়েক জায়গায় রেললাইন কেটে দিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে জনগণ ধরে ফেলেছে। এইভাবে তারা সারাদেশে অগ্নিসন্ত্রাস করে যাচ্ছে।’

নির্বাচন বয়কটের নামে বিএনপি-জামায়াতের সরকারবিরোধী আন্দোলনের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তাদের আন্দোলন কী? অবরোধ-হরতাল। অথচ তাদের দেখা নাই। কয়েকটা গাড়ি পোড়ানো, মানুষ পোড়ানো, রেললাইন কেটে দেওয়া- এটাই হচ্ছে তাদের হরতাল, এটাই তাদের আন্দোলন।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা নাকি গণতন্ত্র উদ্ধারের জন্য আন্দোলন করবে! আরে গণতন্ত্র বানান করতে পারে? আর গণতন্ত্র ওরা শিখেছে? ওর বাপ কি গণতন্ত্র দিয়েছিল? ওটা তো কারফিউ গণতন্ত্র। সারারাত থাকত কারফিউ। কারফিউ দিয়ে ক্ষমতা দখল করে বসেছিল।’

বিজ্ঞাপন

জাতির পিতাকে সপরিবারে এবং আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ মুক্তিযোদ্ধাদের হত্যা করে জিয়াউর রহমানের ক্ষমতায় ঠিকে থাকার প্রসঙ্গ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েই লাশের উপর ওর বাপ ক্ষমতায় বসেছিল। ওর মা এসে যুদ্ধাপরাধীদের গদিতে বসিয়েছিল। তার খেসারতও তাকে দিতে হয়েছে। জনগণই তাকে বারবার ক্ষমতা থেকে টেনে নামিয়েছে। আর সে এখন দূরে বসে হুকুম দেয়- মানুষ পোড়ায়, গাড়ি পোড়ায়, অ্যাক্সিডেন্ট করে মানুষ মারার পরিকল্পনা করে।’

সবচেয়ে বড় কথা এখন তারা এখন মানুষ মারার পরিকল্পনা করে বলে অভিযোগ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যারা মানুষ হত্যার পরিকল্পনা করে তারা কোন গণতন্ত্র দেবে? আমি জিজ্ঞাসা করি? এটা কি বাংলাদেশের মানুষ বোঝে না? নিশ্চয়ই বাংলাদেশের মানুষ সেটা বুঝতে পারে। এজন্যই তো আন্দোলনে সাড়া দেয় না। তাদের ওই মুষ্টিমেয় কয়েকজন আছে। তারাই সাথে নাচে। আর সেইসঙ্গে আমাদের কিছু অতি বামপন্থীরা তারাও এখন ওদের সাথে নেমে পড়েছে। একদিকে জামায়াত-শিবির, অপরদিকে এই খুনিদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে বামপন্থী আদর্শবাদীরা। আমি জানি না তাদের আদর্শ কোথায়?’

আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় শহিদ বুদ্ধিজীবী ফয়জুর রহমান আহমেদের সন্তান মুহম্মদ জাফর ইকবাল, শহিদ বুদ্ধিজীবী ডা. আলীম চৌধুরীর মেয়ে ডা. নুজহাত চৌধুরী স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন।

আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কার্যনির্বাহী সদস্য তারানা হালিম, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমানসহ অন্যান্যরা বক্তৃতা করেন। যৌথভাবে সভা পরিচালনা করেন প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সৈয়দ আবদুল আউয়াল শামীম।

সারাবাংলা/এনআর/পিটিএম

আওয়ামী লীগ জামায়াত টপ নিউজ বিএনপি শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস শেখ হাসিনা

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর