সরকারি প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল চেয়ে রিট
১৩ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৩:২৭
ঢাকা: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে ১৮ জেলার পরীক্ষা বাতিল এবং ওই নিয়োগ পরীক্ষার যাবতীয় কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। গত ৮ ডিসেম্বর বরিশাল, সিলেট ও রংপুর বিভাগে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগ প্রত্যাশী ফাতেমা আক্তার নামে এক প্রার্থী গতকাল মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিট দায়ের করা হয়েছে।
রিটে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি), রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের কমিশনারসহ ১৩ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিটের পক্ষের আইনজীবী মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, গত ৮ ডিসেম্বর প্রাথমিকের প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষা হয়। এই ধাপে রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের ১৮ জেলায় ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ পরীক্ষায় অংশ নেন। এর মধ্যে হরতাল-অবরোধ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তিন বিভাগের ১ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এছাড়া পরীক্ষায় ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতি হয়েছে। এ কারণে গত ৮ ডিসেম্বর গ্রহণ করা পরীক্ষা বাতিল করে নির্বাচনের পর স্বাভাবিক পরিস্থিতিতে নতুন করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবিতে রিট করা হয়েছে। পাশাপাশি এই তিন বিভাগের সহকারী শিক্ষক পদে নিয়োগের সকল কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়েছে রিটে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম এবং বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে বলে জানান আইনজীবী।
এর আগে, গত ১১ ডিসেম্বর সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিল এবং পুনরায় পরীক্ষার দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করে কয়েকশ প্রার্থী। মানববন্ধনে গত ৮ ডিসেম্বরের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক পদের নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের দাবি জানান তারা। এছাড়াও এই নিয়োগে প্রথম ধাপের পরীক্ষায় দেড় লাখেরও বেশি প্রার্থী অংশ নিতে পারেননি বলেও জানান তারা।
মানববন্ধনে তারা বলেন, হরতাল-অবরোধ ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে তিন বিভাগের ১ লাখ ৫৮ হাজারের বেশি পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি। এছাড়া পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁস, ব্যাপক অনিয়ম ও জালিয়াতি হয়েছে। এসব কারণে প্রথম ধাপের ৩ বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষা বাতিল করতে হবে। ডিভাইস ও চুক্তি মুক্ত পরীক্ষা নিতে হবে। জাতীয় নির্বাচনের পর সুষ্ঠ ও কঠোর নিরাপত্তায় পুনরায় পরীক্ষা নিতে হবে। পরীক্ষার হলে অনিয়ম-জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের চাকরিচ্যুত করতে হবে এবং জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলের উপযুক্ত শাস্তির দিতে হবে।
এর আগে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ প্রথম পর্বের ৩ বিভাগের ১৮ জেলার পরীক্ষা বাতিল করে পুনরায় পরীক্ষা নেওয়া এবং প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা-২০২৩ (১ম ধাপ) এর সকল কার্যক্রম স্থগিত করতে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) বরাবরে আবেদন করেন নিয়োগ প্রত্যাশী প্রার্থীরা।
তারও আগে গত ৬ ডিসেম্বর হরতাল-অবরোধের কারণে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা পেছানোর পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) আবেদন করেন পরীক্ষার্থীরা।
সারাবাংলা/কেআইএফ/এনএস