ভোটকক্ষে একসঙ্গে একাধিক ব্যালট বাক্স রাখা যাবে না
১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৫২ | আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ ২১:০৩
ঢাকা : আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণে স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হবে। সেই সঙ্গে ভোটকক্ষে একসঙ্গে একাধিক ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা যাবে না বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (১০ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশন পরিপত্র-১২ জারির মাধ্যমে এ তথ্য জানায়।
ইসি জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ভোটগ্রহণের জন্য স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা হবে। এসব ব্যালট বাক্স ছাড়া অন্য কোনো প্রকার বাক্স ব্যবহার করা যাবে না। এছাড়া কোনো ভোটকক্ষে একই সময়ে একাধিক ব্যালট বাক্স ব্যবহার করা যাবে না। যখন একটি বাক্স ভর্তি হয়ে যাবে তখন বাক্সটি উপস্থিত সবার সামনে সিল করে নিরাপদ স্থানে রাখতে হবে এবং ভোটকক্ষে ওই বাক্সের স্থলে নির্ধারিত পদ্ধতি অনুসরণ করে অন্য একটি স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স ভোটগ্রহণের জন্য রাখতে হবে। স্বচ্ছ ব্যালট বাক্সটি এমন স্থানে রাখতে হবে যা উপস্থিত প্রার্থী, নির্বাচনী এজেন্ট, পোলিং এজেন্ট ও ভোটকেন্দ্রে কর্মরত ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার দৃষ্টিসীমার মধ্যে থাকে এবং সেখানে ভোটাররা সহজে পৌঁছাতে পারেন।
পরিপত্রে ইসি আরও বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ২৭ এবং ভোটার তালিকা আইন, ২০০৯ এর ধারা ৮ অনুসারে ডাকযোগে পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোটদানের ব্যবস্থা রয়েছে। কোন কোন শ্রেণির ভোটার ডাকযোগে ভোট দিতে পারবেন এবং কী পদ্ধতিতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন তা অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে। এ সম্পর্কে রিটার্নিং অফিসারের করণীয় কী তাও বিশদভাবে ওই অনুচ্ছেদে উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ১৫ নভেম্বর দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। সে হিসাবে গত ৩০ নভেম্বর ছিল মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন। ওই দিন পর্যন্ত দুই হাজার ৭১৬ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। পরে চার ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থিতা যাচাই বাছাই শেষে এক হাজার ৯৮৫ জন প্রার্থীকে বৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছে ৭৩১ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র। পরে ৫ ডিসেম্বর থেকে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রার্থীদের আপিল শুরু হয়ে চলে ৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই সময়ে ৫৬১ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে আপিল করে। ১০ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত আপিল শুনানি চলবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি।
সারাবাংলা/জিএস/একে