মুন্সিগঞ্জে গ্যাসলাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ, দগ্ধ ৪
৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১২:০০ | আপডেট: ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৪:২৮
ঢাকা: মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলায় একটি বাসায় গ্যাস লাইন লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে শিশুসহ একই পরিবারের ৪ জন দগ্ধ হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে।
দগ্ধরা হলেন- রিজভী আহম্মেদ রাসেল (৩৫), তার স্ত্রী রোজিনা আক্তার (৩৩), তাদের ছেলে রাইয়ান আহমেদ (৩) ও রিজভির মা শাহিদা খাতুন (৬০)।
দগ্ধ রিজভী আহমেদ জানান, তারা চলতি মাসেই ১ তারিখে মুন্সিগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পাশেই একটি ভবনের একটি পাঁচতলার বাসায় ভাড়া উঠেন। তিনি নিজে মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারের (ওসিসি) প্রোগ্রাম অফিসার এবং তার স্ত্রী গৃহিণী।
তিনি আরও জানান, সকালে তিনি ও তার স্ত্রী রোজিনা একমাত্র ছেলেকে ঘুমিয়ে ছিলেন। আর তার বাবা রজব আলী ফজরের নামাজের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। এ সময় তাদের মা সাহিদা খাতুন রান্নার জন্য উঠেন। রান্নাঘরে চুলা জ্বালাতেই সেখান থেকে বিস্ফোরণ হয়। এই বিস্ফোরণের আগুনে তার মায়ের শরীর পুরোটাই পুড়ে গেছে। এছাড়া ঘুমন্ত অবস্থায় তারাও দগ্ধ হন।
রিজভীর বাবা রজব আলি জানান, ফজরের নামাজ পড়ে তিনি বাইরে হাটাহাটি করতে গিয়েছিলেন। হাটাহাটি শেষে বাসার ফেরার সময় শুনতে পারেন, তাদের বাসায় বিস্ফোরণে পরিবারের সবাই দগ্ধ হয়েছেন। তখন তিনি বাসায় গিয়ে তাদেরকে প্রথমে সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে ঢাকায় নিয়ে আসেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. তরিকুল ইসলাম জানান, শাহিদা খাতুনের শরীর ৯৫ শতাংশ, রিজভীর ১০, রাইয়ানের ৮ ও রোজিনার ১২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া তাদের সবারই মুখমন্ডল দগ্ধ হয়েছে। এ জন্য সবাইকেই আশঙ্কাজনক হিসেবেই দেখা হচ্ছে।
এ বিষয়ে মুন্সিগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের উপ-সহকারী পরিচালক মো. মোস্তফা মোহসিন জানান, খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে বিস্ফোরণের কারণ এখনো নিশ্চিত হতে পারেননি। তদন্ত করে বিস্তারিত জানানো যাবে বলে জানান তিনি।
জেলাপ্রশাসক আবুজাফর রিপন জানান, সঠিক কারণ উদঘাটনের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদুল আলমকে প্রধান করে সাত সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে তারা রিপোর্ট দিবেন। তদন্ত রিপোর্টের প্রেক্ষিতে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সারাবাংলা/এসএসআর/ইআ