বিএনপির নেতৃত্ব কি এতই দেউলিয়া, প্রশ্ন ওবায়দুল কাদেরের
২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৫:২৫ | আপডেট: ২ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৬:৩১
ঢাকা: রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপির দেউলিয়াত্বের প্রতি প্রশ্ন তুলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন,বিএনপির নেতৃত্ব কি এতই দেউলিয়া যে ব্ল্যাকমেইল করলেই চলে আসবে? এতদিন রাজনীতি করল, রাজনৈতিক পরীক্ষায় তারা এতই ব্যর্থ যে, তারা কারো ব্ল্যাকমেলিংয়ে প্রলুব্ধ অন্য দলে যাবে?
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সমসাময়িক রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচন সংক্রান্ত কোথাও কোনো সংঘাত, বিশৃঙ্খলা হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পুরো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিবে তার প্রতি আওয়ামী লীগের আস্থা আছে।
তিনি বলেন, বিএনপি হরতাল, অবরোধ, আগুন সন্ত্রাস করে জনগণকে নির্বাচনবিমুখ করতে পারেনি। জনগণ পুরোপুরি নির্বাচনমুখী হয়ে পড়েছে। এ নির্বাচনে রেকর্ড সংখ্যক ভোটার উপস্থিতি হবে। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ ও ঠেকাতে বিএনপি যে অপচেষ্টা করেছিল তা এখনও অব্যাহত আছে। বাংলাদেশের জনগণ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ। তারা আরেকটি বিজয়ের বন্দরে পৌঁছাতে চায়। এজন্য ভোট দেওয়ার জন্য তারা উন্মুখ হয়ে আছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির নেতৃত্বের দলটির নেতাকর্মীরা হতাশ, আস্থা হারিয়ে ফেলেছে। এ থেকেই দলটির সাবেক ও বর্তমান নেতারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। কাজেই অংশগ্রহণ নির্বাচন বলতে যা বোঝায় ২৯ টি নিবন্ধিত দল অংশ নিয়েছে।
সম্প্রতি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শাহজাহান ওমরের নৌকা প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এটা তার ব্যক্তিগত স্বাধীনতা, এটাও গণতন্ত্র। আমার এ দল ভালো লাগে না, আমি আর এক দলে যাব, সেটাতে তো আমরা হস্তক্ষেপ করিনি। তিনি (শাহজাহান ওমর) স্বেচ্ছায় এসেছেন, এটা তিনি নিজেই তার বক্তব্যে বলেছেন।
বিএনপির রাজনীতি নিয়ে তিনি বলেন, গণমুখী রাজনীতি না করে ষড়যন্ত্রের চোরাগলিতে পা রাখায় বিএনপির আজকে এই দুরাবস্থা। তাদের দলের বিভক্তি আমরা করতে যাইনি। কোনো দলকে ভাগ করা, এটা আমাদের নীতি নয়। সর্বনাশা ভুল নীতিই তাদের দলে বিভাদ সৃষ্টি করেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি ভাঙেনি- এ কথা যারা উঁচু গলায় বলেন তারা সত্য বলছেন না। কারণ আজকে তৃণমূল বিএনপি এত প্রার্থী মনোনয়ন দিয়েছে, এরা সকলেই বিএনপির লোক; বেশিরভাগই বিএনপি থেকে আসা। বিভক্তির বিষয়টা না আসলেও আজকে বিএনপির নেতৃত্বের উপর হতাশ হয়ে বিএনপির সাবেক নেতা, বর্তমান নেতাদেরও অনেকে নির্বাচন করছেন।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক, সুজিত রায় নন্দী, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ অন্যান্যরা।
সারাবাংলা/এনআর/এনইউ