যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে চায় ইসরাইল ও হামাস
২৭ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:০২
ইসরাইল ও ফিলিস্তিনের হামাসের মধ্যে চলমান যুদ্ধে চার দিনের শর্তসাপেক্ষে অস্ত্রবিরতির শেষ দিন আজ সোমবার (২৭ নভেম্বর)। তবে আরও জিম্মি ও কারাবন্দির মুক্তির আশায় যুদ্ধবিরতির সময় বাড়াতে চায় দুই পক্ষই।
রোববার সন্ধ্যায় প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হামাস বলেছে, তারা চার দিনের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ আরও বাড়াতে আগ্রহী। মানবিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে নির্ধারিত কারাগার থেকে মুক্তিপ্রাপ্তদের সংখ্যা বাড়ানোর জন্যই এই প্রচেষ্টা বলে জানিয়েছে হামাস। অন্যদিকে, এদিকে যুদ্ধবিরতির সময় বাড়াতে ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা রোববার সন্ধ্যায় একটি বৈঠক করেছে।
যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ানোর প্রচেষ্টাকে সমর্থন দিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। তবে তিনি বলেছেন, যুদ্ধবিরতির সময় শেষ হলেই গাজায় আবার হামলা শুরু করবে ইসরাইলি সেনারা। এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও যুদ্ধবিরতির সময় বাড়ানোর প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে। যুদ্ধবিরতি চুক্তির মধ্যস্থতাকারী কাতার জানিয়েছে, তারা দুই পক্ষের মধ্যে নতুন একটি সমঝোতারআশা করছে।
এদিকে সোমবার আরও ১০ জন জিম্মির তালিকা ইসরাইলের কাছে হস্তান্তর করেছে হামাস। যুদ্ধবিরতির সময় বাড়লে এসব জিম্মিকে মুক্তি দিতে পারে সংগঠনটি। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, জিম্মিদের একটি তালিকা তারা পেয়েছে এবং এটি নিয়ে আলোচনা চলছে।
ইসরাইলের জিম্মি ও নিখোঁজ ব্যক্তিদের জন্য সরকারি সমন্বয় কার্যালয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তালিকা নিয়ে আলোচনা এবং মূল্যায়ন করা হচ্ছে।
এর আগে গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে আকস্মিক হামলা চালায় ইসরাইল। এ সময় প্রায় ২৪০ জন ইসরাইলিকে জিম্মি করে হামাস। জবাবে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে ইসরাইল। ইসরাইলি হামলায় ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে।
দেড় মাস যুদ্ধের পর কাতারের মধ্যস্থতায় অস্থায়ী চার দিনের যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে শুক্রবার প্রথম দফায় বন্দি বিনিময় হয়। যুদ্ধবিরতির চুক্তির আওতায় ৫০ ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার কথা হামাসের। বিনিময়ে কারাগারে বন্দি ১৫০ ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দিচ্ছে ইসরাইল। সোমবার যুদ্ধবিরতির শেষ দিন। এই মেয়াদ আরও এক বা দুই দিন বাড়তে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
সারাবাংলা/আইই