Tuesday 07 Jan 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

প্রধানমন্ত্রী গণভবনে বসে সভা করে থাকলে অসুবিধা কোথায়: সিইসি

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট
২৬ নভেম্বর ২০২৩ ২০:৪৬ | আপডেট: ২৬ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৫৬

আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। ছবি: সারাবাংলা

ঢাকা: নির্বাচনি আচরণবিধি প্রয়োগের সময় এখনো আসেনি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। আর এ কারণেই নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোনো সভা করে থাকলে তাতে সমস্যা নেই বলে মনে করছেন তিনি।

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, প্রধানমন্ত্রী যদি গণভবনে বসে সভা করে থাকেন, তাহলে সেটার অসুবিধা কোথায়? কারণ, আচরণবিধি প্রয়োগের সময় তো এখনো আসেনি।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৬ নভেম্বর) রাজধানী আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সচিব জাহাংগীর আলম ও অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী কোথায় মিটিং করছেন? কী মিটিং করছেন? প্রধানমন্ত্রী তো কোনো প্রার্থী নন। হয়তো উনি সম্ভাব্য প্রার্থী হতে পারেন। উনি একজন প্রার্থী হবেন রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে চূড়ান্তভাবে গৃহীত হওয়ার পর। কাজেই আইনের মূল কথা হচ্ছে, কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনি আচরণ যেন লঙ্ঘন করা না হয়।’

আরও পড়ুন- ভোট পেছাবে না, তবে বিএনপি এলে পুনঃতফসিল: সিইসি

কাজী হাবিবুল আউয়াল আরও বলেন, ‘কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে, আমি যদি প্রার্থী হই, আমিও আচরণবিধি ভঙ্গ করতে পারব না। আর আমার পক্ষেও আরেকজন গিয়ে আমার পক্ষে প্রচারণা করে নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করতে পারবে না।’

নির্বাচনি শোডাউন প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, ‘অনেকেই বলেছেন এখন শোডাউন হচ্ছে। শোডাউন করে নমিনেশন নিয়েছেন। আমাদের কোনো আইনেই বলা নেই যে দলীয় মনোনয়ন ফরম কেনার সময় তারা শোডাউন করতে পারবেন না, গাড়ি-ঘোড়া নিয়ে যেতে পারবেন না কিংবা দলবদ্ধভাবে যেতে পারবেন না বা আনন্দ উৎসব করতে পারবেন না। এগুলো বলা নেই। তবে মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় শোডাউন নিয়ে আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে কীভাবে যাওয়া যাবে, কী করা যাবে বা কী করা যাবে না।

বিজ্ঞাপন

তফসিলের পর প্রচারণা চালানো যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন না হয় তাহলে রাজশাহী-১ আসনের সংসদ সদস্যকে সর্তক করা হয়েছে কেন— এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘সেটা পরে দেখছি।’

সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে প্রশাসনের কোন রদবদল হবে কি না— এমন প্রশ্নও রাখা হয় সিইসির কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘কোন কমিশন প্রশাসনে রদবদল করেছিল, বলবেন? বিভিন্ন সময় প্রশাসনে যে রদবদল হয়েছিল, তা নির্বাচন কমিশন করেনি, সরকার করেছে। লতিফুর রহমান করেছেন। তিনি ছিলেন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, তিনি কখনো প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন বলে আমি জানি না। সরকার আর নির্বাচন কমিশনের মধ্যে পার্থক্য আছে।’

প্রশাসন রদবদল করার কোনো প্রয়োজন মনে করেন কি না— জানতে চাইলে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘প্রয়োজন মনে করি নাকি করি না, সেটা আমি জানি না। আমরা যদি প্রয়োজন মনে করি, তখন সেটা দেখব। নির্বাচনের জন্য যেটা ভালো মনে করব, সেটা আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে থাকলে করব। এখতিয়ারের বাইরে গিয়ে বা এখতিয়ার অতিক্রম করে আমরা কিছু করতে যাব না।’

নির্বাচনে সেনা মোতায়েনের বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘সবসময় দেখেছি, নির্বাচনের সময় সেনাবাহিনী থাকে। সেনাবাহিনী নিয়ে আমাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। প্রয়োজন কমিশনের আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত নেব। এ নিয়ে কোনো সংশয় বোধ করার কারণ নেই।’

সারাবাংলা/জিএস/টিআর

আচরণবিধি লঙ্ঘন কাজী হাবিবুল আউয়াল টপ নিউজ নির্বাচন আচরণবিধি সিইসি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর