রাজশাহীতে ৩ আসনে নতুন মুখ, ফিরলেন দারা
২৬ নভেম্বর ২০২৩ ২১:৪৯
রাজশাহী: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহীর ৬টি আসনের মধ্যে তিনটিতেই এসেছে নতুন মুখ। এছাড়াও ফিরেছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা।
রাজশাহীর রাজনৈতিক অঙ্গনে চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। নতুন মুখ আসায় তাদের অনুসারীরা ব্যাপক আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠেছে। বেশকিছু এলাকায় মিষ্টি বিতরণও করা হয়েছে।
রোববার (২৬ নভেম্বর) বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নাম ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি ২৯৮টি আসনের নৌকা মনোনয়ন প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন।
রাজশাহী-১ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ওমর ফারুক চৌধুরী, রাজশাহী-২ থেকে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল, রাজশাহী-৩ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, রাজশাহী-৪ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, রাজশাহী-৫ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা, রাজশাহী-৬ থেকে শাহরিয়ার আলম। এর মধ্যে ওমর ফারুক চৌধুরী ও শাহরিয়ার আলম বাদে বাকিরা নতুন।
একাদশ জাতীয় নির্বাচনে রাজশাহী-২ থেকে দলীয় পান আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য রাবির সাবেক উপাচার্য প্রফেসর আবদুল খালেক। জোটভাবে নির্বাচন করার কারণে আসনটি ছেড়ে দিতে হয় ওয়ার্কার্স পার্টিকে। তবে জোটগত নির্বাচনের এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। রাজশাহী-আসন থেকে মনোানয়ন পেয়েছেন রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ আলী কামাল।
রাজশাহী-৩ আসনে ছিটকে পড়লেন সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আয়েন উদ্দিন। তিনি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চমক দেখিয়ে নৌকার মনোনয়ন পান। ওই সময় মনোনয়ন বঞ্চিত হন প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মেরাজ উদ্দিন মোল্লা। পরপর দুইবার আয়েন উদ্দিন এই আসন থেকে জয়লাভ করেন। আয়েন উদ্দিনের বিরুদ্ধে জামায়াত প্রীতি , দলীয় নেতাকর্মীদের নির্যাতন, অবৈধভাবে জায়গা-জমি ও পুকুর দখলসহ নানান বির্তকিত কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন।
রাজশাহী-৪ আসনে টানা তিনবার নৌকা প্রতীক নিয়ে জয়লাভ করেন ব্যবসায়ী ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। এনামুল হকের বিরুদ্ধে বহু নারী কেলেঙ্কারির ঘটনা আছে। এছাড়া দলীয় কর্মীদের বিরোধীতা করা, ত্যাগি নেতাদের মুল্যায়ন না করা, মনোনয়ন বাণিজ্য, জেএমবি ও সর্বহারা সদস্যদের পূর্নবাসন করার অভিযোগ আছে। এছাড়াও জেএমবির শীর্ষ এক নেতাতে ইউপিতে মনোনয়ন পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। দলীয় ও প্রবীণ নেতাদের কোনঠাসা করে বাগমারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির পদও বাগিয়ে নেন তিনি। রাজশাহী-৪ থেকে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও তাহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ।
রাজশাহী-৫ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আবদুল ওয়াদুদ দারা। তিনি এর আগে নবম ও দশম জাতীয় সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন। একাধম জাতীয় নির্বাচনে ছিটকে যান তিনি। তার আসনে নৌকার মনোনয়ন পান ডা. মনসুর রহমান। মনসুর রহমানের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের সাথে দুরুত্ব, গ্রুপিং সৃষ্টি, নিয়োগ বাণিজ্যর অভিযোগ ছিল।
পুরনোদের মধ্যে থেকে গেছেন রাজশাহী-১ থেকে ওমর ফারুক চৌধুরী ও রাজশাহী-৬ থেকে শাহরিয়ার আলম।তারা গত তিন জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন।
সারাবাংলা/একে
আওয়ামী লীগের মনোনয়ন জাতীয়-নির্বাচন টপ নিউজ দ্বাদশ নির্বাচন রাজশাহী